সোনালি ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত কৃষক
বিশেষ প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ফসলের মাঠজুড়ে ছড়িয়ে আছে ধানের সোনালি আভা। বৈশাখের দখিণা বাতাসে দোল খেতে খেতে দেশের প্রধান এ খাদ্যশস্য হাসি ফুটিয়েছে কৃষকদের মুখে; বাড়িয়ে দিয়েছে তাদের ব্যস্ততা। মাঠের বাম্পার ফলন এখন গোলায় তুলতে ব্যস্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কৃষক। যদিও বাজারে কিছুটা মন্দাভাব, তারপরও কষ্টে সৃজিত ফলন আনন্দ-চিত্তেই ঘরে তুলছেন কৃষক।
জেলার বিভিন্ন স্থানে ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে বোরোর বাম্পার ফলনের চিত্র। প্রকৃতি এ বছর দুহাত ভরে দিয়েছে কৃষকদের। আবহাওয়া ছিল অনুকূলে, ফলন হয়েছে প্রত্যাশার চেয়ে ভালো। পেকেছে মাঠের ধান তাই ভোরের সূর্য ওঠার সাথে সাথেই শুরু হয় ব্যস্ততা। স্বর্ণ রঙে পাকা ধান কাটতে শ্রমিকদের সঙ্গে নিয়ে কাস্তে হাতে মাঠে ছোটেন কৃষক। ধান কাটা আর আঁটিবাঁধা শেষে ভার করে নিয়ে যাওয়া হয় বাড়ির উঠোনে অথবা সুবিধাজনক স্থানে। সেখানে মাড়াইয়ের পর রোদে শুকিয়ে তোলা হবে গোলায় ধান। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর, নাসিরনগর ও সরাইলসহ বেশ কয়েকটি উপজেলা সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতিটি কৃষক পরিবারেই এখন নতুন ধানের গন্ধ। মাঠে মাঠে শুরু হয়েছে ধান কাটা উৎসব। বাড়িতে চলছে মাড়াইয়ের কাজ। আর এসব কাজে কৃষকদের পাশাপাশি ব্যস্ততা বেড়েছে কৃষাণীদেরও। শত ব্যস্ততার পরও ফলন ভালো হওয়ায় সকল ক্লান্তি ভুলে তাদের চোখে-মুখে ফুটে উঠেছে খুশির ঝিলিক। এ চিত্র কেবল উপরোল্লেখিত এলাকাগুলোতেই সীমাবদ্ধ নয়। নতুন ধান গোলায় তোলার এ উৎসব-আয়োজন ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে জেলার ৯টি উপজেলার প্রত্যেক কৃষকের ঘরে।
এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অফিস সূএ বলেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কৃষকদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মাঠপর্যায়ে কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করেছেন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা। ‘