নাঈম ও রাজ্জাকের ঘোর কাটছে না
আনোয়ার হোসেন : জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম নাঈম হাসানের কাছে অনেক চেনা। এই মাঠে তাঁর বিপিএল, বিসিএল অভিষেক হয়েছে। সেই মাঠেই কিনা টেস্ট দলের হয়ে অনুশীলন করছেন এই তরুণ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বুধবার প্রথম টেস্ট এই মাঠে। একাদশেও জায়গা মিলতে পারে এই অফ স্পিনারের।
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে হারের দিনেই এই তরুণ টেস্ট দলে ডাক পেয়েছেন। এ কারণেই হয়তো বিস্ময় কাটছেই না নাঈমের, ‘হেরে মন খারাপ ছিল। কিন্তু যখন দলের ম্যানেজার জানালেন যে টেস্ট দলে ডাক পেয়েছি, তখন ভালো লেগেছে।’
সুযোগ পেলে নিজেকে উজাড় করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিলেন নাঈম। গত অস্ট্রেলিয়া সিরিজের আগে ক্যাম্পে ছিলেন নাঈম। তখনকার কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে তাঁকে প্রতিদিন নিজের বোলিংয়ের উন্নতি করার পরামর্শ দিতেন। সেই চন্ডিকার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট দলে ডাক পেলেন নাঈম। উন্নতি কতটা হয়েছে, তা কাজেই দেখিয়ে দিতে চান নাঈম, ‘সুযোগ পেলে নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে ভালো করার। উইকেট কতটা পাব, সেটা আগাম বলতে পারব না।’
দলে ডাক পাওয়ার বিষয়টি বিশ্বাস করতে পারছেন না নাঈমের মতো আরেক স্পিনার। আবদুর রাজ্জাকও বহুদিন পরে ডাক পেয়েছেন জাতীয় দলে। প্রায় চার বছর পর সর্বশেষ টেস্ট খেলেছেন। দলে ডাক পাওয়ার পর তাই বিস্ময় লুকালেন না রাজ্জাক, ‘আমার কাছে এই ডাকটা অপ্রত্যাশিত। আমি চিন্তাও করিনি এই সময়ে। মাথায় ছিলও না। হঠাৎ ডাক পেয়ে বুঝতে পারছিলাম না কী হচ্ছে!’ দলে ডাক পাওয়ার জন্য ভাগ্যও সহায় থাকতে হয় বলে মানছেন ৩৬ বছর বয়সী এই বাঁহাতি স্পিনার।
‘বুড়ো’ বয়সে সুযোগ পাওয়াটাও একটা দৃষ্টান্ত তাঁর কাছে, ‘আমার বিষয়ে ৯৫ শতাংশ মানুষ ধরে নিয়েছিল আমি হয়তো আর পারব না। তবে আমার ভেতরে কাজ করত আমি আরেকবার খেলব।’
সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে দলে ডাক পেয়েছেন। তবে রাজ্জাক নিজেও মানছেন সাকিবের অনুপস্থিতি ভোগাবে দলকে, ‘সাকিবের অভাব পূরণ করতে হলে একজন বোলার ও একজন ব্যাটসম্যান নিতে হয়। তারপরও পুরোপুরি ওর মতো হবে কি না সন্দেহ। কিন্তু মানিয়ে নিতে হবে।’
আজ বাংলাদেশের আগে অনুশীলন করেছে শ্রীলঙ্কা দল। ত্রিদেশীয় সিরিজ জিতে ফুরফুরে মেজাজে থাকা দলটি সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুশীলন করে। তবে কেউ কথা বলতে রাজি হয়নি। দলের দু-একজন উইকেট দেখেছেন। বাংলাদেশ দল মাঠে ঢোকার পর দলের পরিচালক খালেদ মাহমুদ ছুটে যান উইকেটের দিকে। দলে এখন ছয়জন স্পিনার।
ইঙ্গিতটা পরিষ্কার, উইকেট কি তাহলে ইংল্যান্ড সিরিজের মতোই হতে যাচ্ছে!