আশুগঞ্জ উপজেলা অতীত গুরুত্বপূর্ণ বাস্তবে গুরুত্বহীন
বিশেষ প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন কিংবা বাসস্ট্যান্ডে নেমে বাজারে যেতে প্রবেশমুখে ময়লার ভাগাড়। বাজারে যাওয়ার প্রধান সড়কটির অবস্থাও ভালো নয়। ড্রেন উপচে ওই সড়কে জমে আছে পানি। এ পথে হাঁটতে গেলে ময়লার ভাগাড় আর ড্রেনের পানির দুর্গন্ধ নাক চেপে ধরতে বাধ্য করে।
এটাকেই যেন নিয়তি হিসেবে মেনে নিয়েছে এলাকাবাসী। কেননা তারা মনে করে, পৌরসভার দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এ দুর্ভোগ লাঘবের সম্ভাবনা কম। বরাদ্দ অপ্রতুল হওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে এসব সমস্যা সমাধান কঠিন বলেই মনে করে তারা।
গত শনিবার সকালে আশুগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মো. নুরুন্নবী বসে ছিলেন তাঁর অফিস কক্ষে। এক নারী যাত্রী এসে ওয়েটিং রুমের ওয়াশ রুমে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করলেন। কিন্তু ওই নারীকে এ ওয়াশ রুম ব্যবহার উপযোগী নয় বলে জানিয়ে দেওয়া হয়।
সড়ক দুর্ঘটনা কিংবা জরুরি কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন হলে ছুটে যেতে হয় ২০-৩০ কিলোমিটার দূরের হাসপাতালে।
অথচ প্রায় এক বছর আগে এখানেই ৫০ শয্যা হাসপাতাল ভবন নির্মাণকাজ শেষ হয়ে আছে। লোকবল আর কিছু যন্ত্রপাতির অভাবে এটি চালু করা যাচ্ছে না। সাতটি কেপিআইভুক্ত প্রতিষ্ঠান (রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা) থাকা গুরুত্বপূর্ণ এ উপজেলায় এমন দুর্ভোগ যেন পদে পদে। এরই মধ্যে আশুগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনকে ‘বি’ গ্রেড থেকে ‘ডি’ গ্রেডে নামিয়ে আনা হয়েছে।
এলাকা বাসির দেওয়া তথ্য মতে, মেঘনা তীরবর্তী আশুগঞ্জে সার কারখানা, একাধিক বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র, খাদ্যগুদাম, নৌবন্দর রয়েছে। শত শত চাতাল কল থাকা ও চাল বিক্রির বড় বাজার হওয়ায় এটাকে জেলার বাণিজ্যিক রাজধানীও বলা হয়ে থাকে। ২০০০ সালে উপজেলা হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া আশুগঞ্জে দুই লাখের বেশি লোকের বসবাস। সরাইল পরগনার অধীন এ এলাকার নামকরণ তখনকার জমিদার আশুতোষ নাথের নামানুসারেই হয়।
২০১৬ সালের নভেম্বরে ৫০ শয্যা আশুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের কাজ শেষ হলেও এখনো এর কার্যক্রম শুরু হয়নি। এদিকে সম্প্রতি আশুগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনকে ‘বি’ গ্রেড থেকে ‘ডি’ গ্রেডে নামিয়ে আনা হলে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ বেড়ে যায়। গ্রেড অবনমনের কারণে এখন আর আশুগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে সিগন্যালিং ব্যবস্থা নেই। ফলে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে দুজন স্টেশন মাস্টারকে।
ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. মোবারক আলী চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের দুর্ভোগের শেষ নেই। শুধু একটি সেতু পার হয়ে ওপারে ভৈরব যেতে হলেও দুর্ভোগ পোহাতে হয়। কেননা ওই সেতুর ওপর দিয়ে সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যে বাস সার্ভিস চালু আছে, তা দিয়ে যেতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। এসব বিষয় আমাদের আত্মসম্মানে লাগে। ’ প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত পৌরসভা করার বিষয়ে জরুরি ব্যবস্থা নিতে তিনি সংশ্লিষ্টদের প্রতি দাবি জানান। উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু নাসের আহমেদ বলেন, ‘জেলায় বেশি রাজস্ব আয় হয় আশুগঞ্জ থেকে। অথচ এ এলাকাই বেশি অবহেলিত