ব্রাক্ষনবাড়িয়ায় উৎপাদন ভাল হলেও ক্রেতা সংকটে পাট চাষীরা
---
তৌহিদুর রহমান নিটল , ব্রাহ্মণবাড়িয়া : উৎপাদন ও আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হলেও ব্রাক্ষনবাড়িয়া জেলায় পাট চাষীদের মুখে হাসি নেই। উৎপাদিত পাটের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় কৃষকরা অনেকটায় হতাশ। যেখানে প্রতিমন পাট এখন এক হাজার টাকায় বিক্রি হতো বরং সেখানে পাটের উৎপাদন মোটামুটি ভাল হলেও ক্রেতা নেই। চাষীরা জানান, বছরের এ সময় পাট কেনার জন্য পাইকাররা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধর্না দিলেও এবার তাদের দেখাই মিলছেনা। এছাড়া বছরের এ সময়ের এক/দেড় মাস আগেই বাজারে পাটের ক্রয়মূল্য নির্ধারণ করা হলেও এ বছর এখনো তা করা হয়নি। এতে করে আমরা উৎপাদিত পাটের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হবার আশংকা করছি। কৃষকদের দাবী পাট চাষীদের উৎসাহিত করার লক্ষ্যে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কারনে তারা পাট চাষে ব্যাপক ভাবে উৎসাহিত হয়।
ব্রাক্ষনবাড়িয়ার মাটি ও আবহাওয়া পাট চাষের জন্য খুবই উপযোগী। জেলার পাট চাষীরা এখন পুরোদমে পাট সংগ্রহের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এ বছর ৩৭৯০ হেক্টর জমিতে পাট আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়, উৎপান লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৬ হাজার ৩৫৭ বেল্ট ।আবাদ ও উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা দুটিই অর্জিত হলেও চাষীদের ন্যার্য মূল্য নিয়ে তাদের কপালে চিন্তা ভাঁজ। কানি প্রতি জমিতে পাট হয়েছে৭/৮মন। প্রতিমন পাটের বাজার দর এক হাজার টাকা। কিন্তু উপাদিত পাটের ন্যায্যা মুল্য না পাওয়ায় দিশেহার কৃষক। এ বছর পাট থেকে আহরিত শোলার দামও অনেকটায় কম। পাট চাষীরা জানান, অন্যান্য বছর শোলা বিক্রি করেই তাদের পুঁজিটা উঠে আসত। পাটের যে মূল্য তাতে তাদের উৎপাদন খরচই উঠবেনা । এখনও পাটের মূল্য নির্ধারন না করায় ন্যার্য মূল্য থেকে তারা বঞ্চিত হবার আশংকা করেন পাট চাষীরা ।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদরের উপপরিচালক মোঃ আবু নাছের বলেন পাট সংগ্রহ পুরোপুরি শেষ হলে মিলার ,পাইকার ও আরতদাররা পাট কেনা শুরু করবে ,তখন বাজারে পাটের দাম বাড়বে।