g লাল মরিচে স্বপ্ন দেখছে বাঞ্ছারামপুরের মরিচ চাষীরা | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

সোমবার, ২১শে আগস্ট, ২০১৭ ইং ৬ই ভাদ্র, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

লাল মরিচে স্বপ্ন দেখছে বাঞ্ছারামপুরের মরিচ চাষীরা

AmaderBrahmanbaria.COM
আগস্ট ১৪, ২০১৭

---

ফয়সল আহমেদ খান ,বাঞ্ছারামপুর থেকে : সরকারীভাবেঘোষিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের হাওয়র বেষ্টিত বাঞ্ছারামপুওে গত তিন ধওে [শুক্র থেকে আজ রবিবার] প্রচন্ড বর্ষন,উজান থেকে নেমে আসা পানি,মেঘনার জোয়ারের পানি হাওয়রে নেমে আসায় বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ১৯ টি গ্রামের প্রায় ৫ শত হেক্টও আকষ্মিকভাবে পানিতে জমির বোরো ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। সরেজমিনে দেখা যায়, বাশগাড়ি,বাহেরচর,শান্তিপুর,ভুড়ভুড়িয়া,ছলিমাবাদ,নিলখী,হোসেনপুর,সাবনগর,দড়িবাঞ্ছারামপুর,ধাড়িয়ারচর,মনাইখালি,ছবুরকান্দিখোষকান্দি,চারআনি,মায়ারামপুর,বুধাইরকান্দি,রাধারনগর,কালিকাপুর গোকুল নগর গ্রামের বোরো আবাদী জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। মেঘনা নদীর পানি ও উজান থেকে বৃষ্টির পানি নামতে থাকার কারনে এমনটি হয়েছে বলে জানান ঋপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.জামাল হোসেন । ফলে আবাদী বোরো ফসলি জমি থেকে দ্রুত পানি নিস্কাশন না হওয়ায় এবং থেমে থেমে বৃষ্টি অব্যাহত থাকার কারনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।দড়ি বাঞ্ছারামপুর গ্রামের কৃষক আক্কাছ মিয়া,বাশগাড়ির নজরুল মিয়া,মনাইখালীর হিরু মিয়া,শান্তিপুরের মোহাম্মদ মিয়া সহ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা বলেন,আকষ্মিক বৃষ্টির কারনে ও মেঘনার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বোরো নির্ভরশীল আবাদি ফসলী জমির পাকা ধানী জমি সম্পূর্ণরূপে তলিয়ে গেছে। আউশ ও আমন মৌসুমে বন্যার ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় এসব এলাকার কৃষকরা বোরো নির্ভরশীল হয়ে উঠেন।এখন বোরো ফসল তলিয়ে যাওয়ায় তাদের বড় ধরনের ক্ষতি গুনতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কতৃপক্ষ বলেন,বাঞ্ছারামপুওে সাড়ে নয় হাজার হেক্টও হতে সবমিলিয়ে প্রায় ৫০০ হেক্টর ফসলি আবাদি জমি তলিয়ে যেতে পারে।সঠিক হিসেব বলতে গেলে সময় লাগবে। তবে পানি দ্রুত নিষ্কাষিত হলে তেমন ক্ষয়ক্ষতি হবে না।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে সবজি চাষের পাশাপাশি লাভজনক মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকরা এখন মরিচ পরিচর্যা’য় ব্যস্ত সময় কাঁটাচ্ছেন। উপজেলার মনাইখালি,মানিকপযুর,বােিহরচর,রুপুসদী,মরিচাকিান্দি,দরিয়াদৌলত,ফরদাবাদ,নগরিরচর,শিবপুর,তেজখালির কৃষকরা সবজি’সহ লাভজনক মরিচ চাষ করছে। সবচেয়ে বেশী মরিচ চাষ করা হয়েছে উজানচর ও সদও উপজেলায়র সদও উত্তর ইউনিয়নে। বাহেরচর এলাকার কৃষক তোফাজ্জল হোসেন ও মানিকপুর গ্রামের আব্দুল গফুর ও নজরুল ইসলাম জানান, চলতি মৌসুমে সবজির বাম্পার ফলন ও দাম ভাল পাওয়ায় আমরা লাভজনক ফসল হিসেবে মরিচ চাষ করছি। লাল তীর সীড লিমিটেডের হাইব্রিড সনিক জাত মরিচের চাষ করেছি। ফলন ভাল হয়েছে। নগরিরচর গ্রামের কৃষক মর্তুজা আলী জানান, জমিতে হাইব্রিড সনিক মরিচের ফলন ভাল হয়েছে। বাজারে প্রতি কেজি পাকা মরিচ ১৪০থেকে ১৪৫টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাঞ্ছারাামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো.জামাল হোসেন জানান, উপজেলায় কৃষকরা সবজি চাষের পাশাপাশি ব্যাপক ভাবে মরিচ চাষ করেছে। এ মৌসুমে উপজেলায় মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ৫শ হেক্টর জমিতে। চাষ করা হয়েছে ৪শ ৫০হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে উপসী জাতের মরিচ ও হাইব্রিড মরিচজাত রয়েছে। দাম ও ফলন ভাল পাবে এমনটাই আশা করছেন কৃষকরা। গাবতলী উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো.জাহাঙ্গীর আলম প্রধান ও হুমায়ূন কবীর জানান, মরিচ চাষে কৃষকদের পরিশ্রম একটু বেশী। তবে ফলন ও দাম ভাল পাওয়ায় কৃষকের মুখে ফুটবে হাসি।

 

 

 

এ জাতীয় আরও খবর