g কারাগারে আরাম-আয়েশে মাদক সেবন করছে তুফান | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

সোমবার, ২১শে আগস্ট, ২০১৭ ইং ৬ই ভাদ্র, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

কারাগারে আরাম-আয়েশে মাদক সেবন করছে তুফান

AmaderBrahmanbaria.COM
আগস্ট ১৯, ২০১৭

---

নিজস্ব প্রতিবেদক : বগুড়ায় ছাত্রী ধর্ষণ ও মা-মেয়েকে ন্যাড়া করার চাঞ্চল্যকর ঘটনায় নারী নির্যাতন মামলায় বহিষ্কৃত শ্রমিক লীগ নেতা তুফান সরকার ও তার সহযোগীরা কারা কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় বেশ আরাম-আয়েশেই রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে সহজেই ফেনসিডিল পাচ্ছে মাদকাসক্ত তুফান। রাখা হয়েছে হাসপাতালে। এমনকি জেল সুপারের কক্ষে ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর সঙ্গে তুফানকে কথা বলার সুযোগ করে দিয়েছে জেল কর্তৃপক্ষ। তবে জেল সুপার এই কথা বলার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেন। সম্প্রতি কয়েকজন জেল খেটে বগুড়া জেলা কারাগার থেকে বেরিয়ে আসার পর তুফানের জেল রাজ্যের এমন প্রভাবের কথা জানা গেছে। অভিযোগ উঠেছে, দর্শনার্থী কক্ষে ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে কথা বলছে তুফান ও তার পরিবারের সদস্যরা। তারা জেলের মেডিক্যালে থাকছে, বাড়ি থেকে দেওয়া খাবার খাচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, জেল সুপারের কক্ষে ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর সঙ্গে তুফানকে কথা বলার সুযোগ করে দিয়েছে জেল কর্তৃপক্ষ। বগুড়ার জেল সুপার ওই ছাত্রীর সঙ্গে তুফানের কথা বলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করলেও তুফানের কাছে ফেনসিডিল পৌঁছে যাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। সূত্র বলেছে, জেলের নারী ওয়ার্ডে রুমকি, বোন আশা ও মা রুমি রয়েছে। আর তুফান রয়েছে কারা হাসপাতালে। বগুড়া জেলা জেল সুপার মোজাম্মেল হোসেন বলেন, দর্শনার্থী কক্ষে পাইপ দিয়ে তুফানকে ফেনসিডিল খাওয়ানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। এ ছাড়া প্রাচীরের বাইরে থেকে ফেনসিডিল ভেতরে নিক্ষেপ করা হলেও সেটা কার কাছে যাবে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। জামিনে ছাড়া পাওয়া কয়েকজন হাজতি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানায়, জেলে আসার পর থেকেই তুফান, রুমকিসহ অন্য আসামিদের বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। তাদের জন্য কয়েকজন কারারক্ষী নিয়োগ করা হয়। প্রথম ২-৪ দিন তারা জেলের খাবার খেলেও পরবর্তীতে বাড়ি থেকে পাঠানো খাবার খায়। জেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহযোগিতায় তুফান সরকার ও অন্যরা দর্শনার্থী কক্ষে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলার সুযোগ পায়। ওই সুযোগে দর্শনার্থী কক্ষে স্যালাইনের পাইপের মাধ্যমে তুফানকে ফেনসিডিল খাওয়ানো হয়। এ সময় সেখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত রক্ষীরা পাহারা দেয়। জানা যায়, গত ১২ আগস্ট দর্শনার্থী কক্ষে তুফানকে ফেনসিডিল খাওয়ানোর সময় রওশন আরা নামে এক নারী কারারক্ষী বিষয়টি হাতেনাতে ধরে ফেলেন। পরে জেল সুপারকে তিনি বিষয়টি জানান। এর পর থেকেই প্রাচীরের ওপার থেকে ফেনসিডিলের বোতল নিক্ষেপ শুরু হয়। কারারক্ষীদের সহায়তায় পছন্দের লোকজন বোতলটি তুফানের কাছে পৌঁছে দিতে থাকে। সর্বশেষ ১৬ আগস্ট বিকেলের দিকে দক্ষিণ পাশ থেকে এক বোতল ফেনসিডিল জেলের মধ্যে নিক্ষেপ করা হয়। এ সময় বাবুল নামে এক হাজতি সেটা তুফানের কাছে পৌঁছে দেওয়ার সময় এক কারারক্ষী তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। এ অপরাধে শহরের ঠনঠনিয়া এলাকার মাদক মামলার হাজতি বাবুলকে সেলে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেল সুপার। ছাড়া পাওয়া কয়েদিরা আরও অভিযোগ করে, গত ৭ জুলাই নির্যাতিত ছাত্রী ও তার মাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। সেদিনই রাত ৯টার মধ্যে তুফানকে লকআপ থেকে এনে সুপারের কক্ষে ছাত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত্ করানো হয়েছে। তুফান নিজেই সাক্ষাতের বিষয়টি জেলের কয়েকজন রক্ষীর কাছে স্বীকার করেছে। তুফান তাদের বলে, ছাত্রী মামলা তুলে নেবে এবং বিনিময়ে সে তাকে বিয়ে করবে। এ বিষয়ে সদর থানার ওসি এমদাদুল হক সকালের খবরকে বলেন, ঘটনার পর ওই ছাত্রীকে রাজশাহীর সেফ হোমে রাখা হয়েছে। এখনও ওই ছাত্রী সেখানেই পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। তিনি বলেন, কারাগারে ওই ছাত্রীর তুফানের সঙ্গে কথা হয়েছে এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। কারণ রাজশাহীতে পুলিশি নজরদারিতে ওই ছাত্রীকে চিকিত্সা দেওয়া হচ্ছে। কোনোভাবেই সম্ভব নয় পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার। এ বিষয়ে গত রাতে জেল সুপার মোজাম্মেল হোসেন সকালের খবরকে বলেন, রাতে লকআপ থেকে কোনো হাজতি ও কয়েদিকে বের করার সুযোগ নেই। তাই আমার কক্ষে ভিকটিমের সঙ্গে তুফান সরকারের সাক্ষাত্ করানোর অভিযোগটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তুফান মেডিক্যালে ভর্তি রয়েছে এমন অভিযোগও অস্বীকার করে জেল সুপার বলেন, আসামিদের কেউ হাসপাতালে নেই। সবাই সাধারণ বন্দির মতো রয়েছে। সকালে খবর

এ জাতীয় আরও খবর