g ঈদের পরিপূর্ণ সাজ | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

সোমবার, ২১শে আগস্ট, ২০১৭ ইং ৬ই ভাদ্র, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

ঈদের পরিপূর্ণ সাজ

AmaderBrahmanbaria.COM
আগস্ট ১৯, ২০১৭

---

শাহিনা আক্তার :  ঈদ মানে আনন্দ-খুশি। নতুন কাপড়, জুতো, ঘরের নতুন জিনিস সাজসজ্জায় চকচকে থাকে ঈদের দিনে। তাই নিজেকে গুছিয়ে-সাজিয়ে রাখতে হয় সারাদিন। খুব ভারি মেকআপ না করলেও ঈদের দিন সবাই থাকেন উজ্জ্বল।

ঈদের দিন নিজেকে সুন্দর ও আকর্ষণীয় করে তুলতে আগেই কিছু কাজ করে রাখা দরকার। ফেসিয়াল, চুলে নতুন কাট, মেনিকিউর, পেডিকিউর, ভ্রু প্লাক, হেয়ার ট্রিটমেন্ট ইত্যাদি। এতে সৌন্দর্যটা ফুটে ওঠে খুব সুন্দরভাবে। মসৃণ ত্বকে যত্নের প্রয়োজন হয় না এমন ভাবার কোনো কারণ নেই। সৌন্দর্যের যত্ন না নিলে অকালেই তা ঝরে যায়। ঈদের সময় এমনিতেই ব্যস্ত সময় কাটে, তার মধ্যেও নিজেকে গুছিয়ে রাখুন। সাজান স্নিগ্ধ, সুন্দর করে। 

আপনার ত্বক যদি তৈলাক্ত হয়, তাহলে ওয়াটার পাউডার বেসড মেকআপ ব্যবহার করুন। আর শুষ্ক ত্বকে ক্রিম বেসড মেকআপ ভালো। দিনের সাজে উজ্জ্বল থাকার জন্য হালকা ফাউন্ডেশন ব্যবহার করতে পারেন, তবে ঘেমে যাওয়ার প্রবণতা থাকলে এ ফাউন্ডেশন এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। ভ্রু আঁকার জন্য কালো বা ব্রাউন পেন্সিল ব্যবহার করতে পারেন। চোখের সাজটায় মনোযোগ দিন। শেড দিন প্রথমে লাইট কালারে। এরপর, এর কোনায় রুপালি-সোনালি-ব্রোঞ্জ রঙের শেড দিয়ে হালকা হাইলাইট করুন, বেশি চকচকে নয়। আইশ্যাডো পোশাক অনুযায়ী হতে পারে কিংবা কন্ট্রাস্ট স্মোকি বা দুই-তিন শেডের হতে পারে। তবে পাপড়ির ওপরে থাকবে সবচেয়ে গাঢ় শেড এবং ক্রমান্বয়ে তা ওপরের দিকে হালকা হয়ে ব্লেন্ড হবে। শেডগুলো একটির সঙ্গে অন্যটি এমনভাবে মিশে যাবে যেন মনে হয় একই শেডে নয় রঙ। এরপর চোখের মেকআপে পরিপূর্ণতা দেওয়ার জন্য কাজল ব্যবহার করুন। পেন্সিল দিয়ে রেখা টানার পর আঙুলের সাহায্যে সেটি মিশিয়ে দিন। চোখের নিচেও কাজল দিন। গাঢ় কোনো শেড দিয়ে তা ব্লেন্ড করুন যেন অনেকক্ষণ স্থায়ী হয়। আইলাইনারও ব্যবহার করতে পারেন। চোখের মেকআপের ক্ষেত্রে দিনের ও রাতের তফাত থাকে। দিনের মেকআপ করুন ত্বকের রঙঘেঁষা আইশ্যাডো বাদামি বা কালো কাজল বা পেন্সিলের রেখা। রাতের মেকআপে পোশাক অনুযায়ী আইশ্যাডো, হাইলাইটার ব্যবহার করুন। এখন বিভিন্ন রঙের কাজল পাওয়া যায়, ব্যবহার করতে পারেন। চোখকে আরো আকর্ষণীয় করার জন্য মাশকারা ব্যবহার করুন।

ব্লাশন যেমন আপনার ত্বকে আগে রঙের ছোঁয়া, তেমনি মুখের হাড়ের গড়ন সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলতে সাহায্য করে। ঠিকমতো ব্যবহারে গোলমুখ লম্বা করতে, গাল ভাঙা মুখও ভরাট দেখায়। ব্লাশন ব্যবহার করার সময় খেয়াল করবেন, ব্লাশনের রঙটি যেন আপনার পোশাক, লিপস্টিক, আইশ্যাডোর রঙের সঙ্গে মানানসই হয়। ক্রিম ব্লাশন লাগাতে হবে আঙুলের ডগা দিয়ে। লিকুইড মেকআপ লাগানোর পর এবং ফেস পাউডার লাগানোর আগে। যদি আপনার ডিম্বাকৃতি আকারের মুখ হয়, তাহলে হাড়ের সবচেয়ে উঁচু জায়গায় ব্লাশন লাগিয়ে মিলিয়ে দিন। যদি গোলমুখ হয় তাহলে ব্লাশন লাগানোর সময় এমনভাবে লাগাতে হবে যেন ব্রাশের টানটি চোয়ালের হাড় থেকে গালের ওপর দিকে উঠে যায়। থুঁতনির এক কেন্দ্রে সামান্য একটু ব্লাশনের বিন্দু লাগিয়ে ঘষে দিন। চৌকোনা মুখে ব্লাশন লাগাবেন চোয়ালের দু’পাশ থেকে গালের মাঝখান বরাবর।

লিপস্টিক লাগানোর আগে লিপ লাইনার দিয়ে আউটলাইন করে দিয়ে লিপ ব্রাশে লিপস্টিক দিয়ে ভরে দিন। খেয়াল রাখবেন যেন আউটলাইন আলাদা করে দেখা না যায়। হালকা গহনা আর পারফিউম দিয়ে আপনি তৈরি হোন। মেহেদির শখ থাকলে আগের দিন রাতেই তা দিয়ে নিন আকর্ষণীয় ডিজাইনে। পার্লারে গিয়েও দিতে পারেন। চুল খোলা বা হালকা পনিটেল করে সাজ শেষ করুন।

ঈদের সারাদিন কর্মব্যস্ত থাকার পরও নিজেকে রাখতে হয় গোছানো সুন্দর। আপনি ঘরে থাকলেও অতিথি আপ্যায়নে ব্যস্ত থাকতে হয় সারাক্ষণ। তাই টেবিলে মজার মজার খাবার পরিবেশনের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকেও সুন্দরভাবে উপস্থাপনা করলে আপনার ঈদ আরও উজ্জ্বল হবে। দিনে হালকা সাজলেও রাতে নিজেকে একটু গর্জিয়াস লুক দিন। ঈদের সাজসজ্জার প্রয়োজনীয় জিনিস ক্রয় করুন। গুছিয়ে রাখুন। রূপচর্চায় জরুরি কাজগুলো আগেই পার্লারে সময় নিয়ে সেরে ফেলুন। নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখুন।