মেয়েকে সেফ হোমে, মাকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে পাঠানোর নির্দেশ
---
নিউজ ডেস্ক : বগুড়ায় ধর্ষণের শিকার কলেজছাত্রীকে রাজশাহীর সেফ হোমে এবং নির্যাতনের শিকার তার মাকে রাজশাহীর ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের মাধ্যমে নিরাপদ স্থানে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার দুপুরে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পর তাদের আদালতে হাজির করলে বগুড়ার শিশু আদালতের বিচারক মোহা. ইমদাদুল হক এ নির্দেশ দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার ওসি অপরাশেন আব্দুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, বিচারক মোহা. ইমদাদুল হক মা ও মেয়ের নিরাপত্তার স্বার্থে বগুড়া জেল সুপারের মাধ্যমে মেয়েকে রাজশাহীর সেফ হোমে ও মাকে রাজশাহীর ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মা ও মেয়ে অবশ্য সেফ হোম ও ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে যেতে রাজি ছিলেন না। তাদের দাবি ছিল তারা ঢাকায় আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেবেন।
তবে মেয়ের বাবা ইয়াকুব আলী সোহাগ মা ও মেয়েকে নিরাপত্তা দানে অপারগতা জানালে আদালত এ নির্দেশ দেন।
আদালতে মা ও মেয়ের নিরাপত্তার বিষয়ে শুনানিতে অংশ নেন শিশু আদালতের স্পেশাল পিপি মোহা. আমানুল্লাহ ও নারী ও শিশু আদালতে স্পেশাল পিপি আশিকুর রহমান সুজন।
এদিকে ছাত্রী ধর্ষণ ও মা-মেয়েকে নির্যাতনের পৃথক দুটি মামলায় আসামি শ্রমিক লীগ নেতা তুফান সরকার, তার স্ত্রীর বড় বোন পৌর কাউন্সিলর মার্জিয়া আকতার রুমকিসহ গ্রেফতার ১১ আসামি বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
রোববার তুফান ও রুমকিকে আদালতে উপস্থিত করে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। তবে আদালত রিমান্ড ও আসামি পক্ষের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারের প্রেরণের নির্দেশ দেন। এর আগে তুফান সরকারকে তিন দফায় সাত দিন এবং মার্জিয়াকে দুই দফায় ছয় দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
তবে তুফান নির্যাতিত ছাত্রীকে ধর্ষণ এবং নারী কাউন্সিলর মার্জিয়া নির্যাতন ও চুল কেটে দেয়ার কথা স্বীকার করেননি।
এদিকে আদালতে তুফান সরকারের সহযোগী মুন্না ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এছাড়া আদালতে দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন তুফানের আরেক সহযোগী আতিক এবং নাপিত জীবন রবিদাস।