g যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশিসহ যৌন নিপীড়ক চক্রের ১৮ জন দোষী সাব্যস্ত | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

সোমবার, ১৪ই আগস্ট, ২০১৭ ইং ৩০শে শ্রাবণ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশিসহ যৌন নিপীড়ক চক্রের ১৮ জন দোষী সাব্যস্ত

AmaderBrahmanbaria.COM
আগস্ট ১০, ২০১৭

---

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশিসহ একটি যৌন নিপীড়ক চক্রের ১৮ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে স্থানীয় একটি আদালত। উত্তর-পূর্ব ইংল্যান্ডের নিউ ক্যাসলে একটি অপরাধ চক্রের এক নারী ও ১৭ পুরুষ সদস্যরা দোষী প্রমাণিত হয়েছে। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

মদ বা মাদক সেবন করে নারী ও কিশোরীদের যৌন নিপীড়ন এবং ধর্ষণ করত ওই চক্রটি। ২০১১ সাল থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে ওই চক্রটি ধর্ষণ, মানব পাচার, পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা এবং মাদক পাচারের মত প্রায় একশ ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল।

যৌন নিপীড়ন, ধর্ষণ, মানব পাচার বা পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা হয়েছে এমন নারীদের বয়স ১৩ থেকে ২৫। তাদেরকে টার্গেট করা হতো কারণ এই বয়সের নারীরা ভয়ে কাউকে কিছু বলতে পারবে না। তাদের জোর করে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ করতে বাধ্য করা হতো।

ওই চক্রটির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তারা বহু নারীকে অজ্ঞান করে বা মাদক সেবন করিয়ে যৌন নির্যাতন, ধর্ষণ করেছে। অনেক নারীকে তাদের অজান্তেই পাচারও করে দেয়া হয়েছে। ওই চক্রটির হাত থেকে শিশুরাও রক্ষা পায়নি। তারা শিশুদেরও নিপীড়ন করেছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।

বাংলাদেশি, পাকিস্তান, ভারত, ইরাক, ইরান এবং তুরস্কের বেশ কয়েকজন নাগরিক ওই যৌন নিপীড়ক চক্রের সদস্য।

২০১৪ সালের এপ্রিলে ১৮ বছর বয়সী এক নারী ধর্ষণের শিকার হন। মেফেড্রোন দিয়ে তাকে অবচেতন করা হয়। যখন জ্ঞান ফেরে তখন তিনি নিজেকে একটি ঘরে দেখতে পান। সেখানে রহিম নামের একজন তাকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন। এরকম বহু অপরাধের প্রমাণ পাওয়া গেছে ওই অপরাধ চক্রের বিরুদ্ধে। তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের অভিযোগই বেশি।

আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, ভুক্তভোগীদের ওপর কোনো ধরনের সম্মান দেখায়নি যৌন নিপীড়ক চক্র। তারা কম বয়সী নারীদেরই টার্গেট করেছিল কারণ এতে করে তাদের কাজটা অনেক সহজ হতো।

২০১৩ সালের ডিসেম্বরে অপারেশন শেল্টারের কাছে এক তরুণী এবং ১৪ ও ১৫ বছরের দুই কিশোরী যৌন নিপীড়নের অভিযোগ করার পরই যৌন নিপীড়ক চক্রের অপরাধের বিষয়টি সামনে আসে। পরে ২০১৫ সালে ওই চক্রটির বিরুদ্ধে প্রথম চার্জ গঠন করা হয়।

যৌন নিপীড়ক চক্রের সদস্য ক্যারোলান গ্যালোন (২৩) নামের এক নারীও নিজের অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি নারী ও শিশুদের পাচার করতেন।