ভারতে কে হচ্ছেন নতুন রাষ্ট্রপতি !
---
ভারতের নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করছেন দেশটির সংসদ সদস্য ও বিভিন্ন রাজ্যের বিধায়করা। ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন জাতীয় ও রাজ্যভিত্তিক আইনপ্রণেতাদের সরাসরি ভোটে। যদি ঐকমত্যের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতির পদে কেউ চূড়ান্ত হন, তাহলেও অনুষ্ঠানিকভাবে ভোট দেন আইনপ্রণেতারা।
আজ সোমবার (১৭ জুলাই) অনুষ্ঠিত হচ্ছে ভারতের নুতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। এ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে ২০ জুলাই।
নির্বাচনে লোকসভার ৫৪৩ জন, রাজ্যসভার ২৩৩ জন এবং ২৯টি রাজ্য ও সবকটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মোট চার হাজার ১২০ জন বিধায়ক ভোট দেবেন।
পরিসংখ্যানে বড় ধরনের কোনো গড়মিল না হলে রামনাথ কভিন্দেরই ১৪তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার কথা। তিনি বর্তমান রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির স্থলাভিষিক্ত হবেন। নতুন রাষ্ট্রপতির ২০ জুলাই শপথ নেওয়ার কথা রয়েছে।
বর্তমান প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জির জায়গায় প্রার্থী হিসেবে যে দু’জন লড়ছেন তারা উভয়েই দলিত সম্প্রদায়ের। একজন বিহারের সাবেক গভর্নর বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের (এনডিএ) ‘রামনাথ কভিন্দ’। আর অন্যজন লোকসভার সাবেক স্পিকার ইউনাইটেড প্রগ্রেসিভ অ্যালায়েন্সের ‘মীরা কুমার’।
নানা কেলেঙ্কারিতে কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তের মুখে থাকা জনাকয়েক জনপ্রতিনিধি বিজেপি-কে ‘বার্তা’ দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতি পদে নরেন্দ্র মোদীর প্রার্থীকে ভোট দিতে চান বলে ওই শিবিরের দাবি। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন যে হেতু গোপন ব্যালটে হয়, তাই কে কোন দিকে ভোট দিলেন, তা জানার উপায় নেই।
তাই এমন জল্পনার কিছু অবকাশ অন্তত খাতা-কলমে থাকছে। যদিও অন্য কোনও দলের কোনও সূত্র থেকেই ওই দাবির কোন সমর্থন মিলছে না। বরং, বিজেপি‘রই কেউ কেউ আবার পাল্টা বলছেন, তৃণমূলের সমর্থন ছাড়াই কভিন্দের জয় তো নিশ্চিত!
নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, মোট ৫৫ জন সাংসদ বিভিন্ন বিধানসভায় ভোট দিতে চেয়ে আবেদন করেছেন। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই তৃণমূলের। ভোটদানের ফাঁকেই সোমবারেই বিধানসভায় দলীয় সাংসদদের নিয়ে বৈঠক করার কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সংসদের অধিবেশনের রণকৌশলই বৈঠকের আলোচ্য।
তবে ভোট-পর্ব শুরুর এক ঘণ্টা আগেই সাংসদ ও বিধায়কদের বিধানসভায় ডেকে নিয়েছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছেন, অন্য রকম কোনও আশঙ্কা বিনাশ করতেই কি এমন তৎপরতা?