কিশোরীর শরীরে ‘আপত্তিকর স্পর্শ’,পুলিশের কনস্টেবল গ্রেপ্তার
---
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দুই সংখ্যালঘু কিশোরীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে ভারতের উত্তর প্রদেশের মনিপুরি জেলার এক পুলিশ কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই কিশোরীদের শরীরে ‘আপত্তিকর স্পর্শে’র অভিযোগ আনা হয়েছে ওই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে।
গত ২৩ মে মনিপুরি জেলার কাড়িঘাট পুলিশ ফাঁড়িতে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবলের নাম ঈশ্বরপ্রসাদ।
এ ঘটনার একটি ভিডিও ইন্টারনেট জগতে ছড়িয়ে পড়লে রাজ্যজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। ঘটনার শিকার দুই বোন ২৫ মে স্থানীয় থানায় এই উত্ত্যক্তের অভিযোগ করেন।
স্থানীয় পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রাজেশ এস জানান, এ ঘটনার ভিডিও রাজ্য পুলিশের হাতে এসেছে। তারা ‘অ্যান্টিরোমিও স্কোয়াডের’ আওতায় এই উত্ত্যক্তের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ওই কনস্টেবল একটি খাটের ওপর শোয়া অবস্থায় দুই কিশোরীর শরীরে অত্যন্ত বাজেভাবে হাত বোলাচ্ছেন।
জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রাজেশ এস বলেন, “এই আচরণ কোনোভাবে সহ্য করার মতো নয়। ‘প্রোটেকশন অব চিলড্রেন ফর্ম সেক্সুয়াল অফেন্স’-এর (পিওসিএসও) আওতায় মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে।”
এদিকে, অভিযুক্ত কনস্টেবল ঈশ্বরপ্রসাদ তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, ‘আমি তাঁদের একজনের হাত স্পর্শ করে বাড়ি চলে যেতে বলেছি। আমি তাঁদের কোনোরকম উত্ত্যক্ত করিনি।’
মার্চ মাসে বিজেপির যোগি আদিত্যনাথ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের পরই উত্তর প্রদেশের আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি বিশেষ বিবেচনায় রয়েছে। যোগি বলেছেন, “আমি উত্তরাধিকারসূত্রে এক ‘জঙ্গলরাজ’ বা আইনশৃঙ্খলাহীন ভূমি পেয়েছি। যেখানে আইনশৃঙ্খলার অবস্থা কসাইখানার মতো।”
এর আগে গত সপ্তাহে ভারতের একই রাজ্যের রামপুর জেলার দুই নারীকে ১৪ পুরুষ মিলে উত্ত্যক্ত করার ঘটনা ঘটেছিল। উত্ত্যক্তকারীরাই এ ঘটনা মুঠোফোনে ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছিল।