শিক্ষক শ্যামল কান্তির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
---
নিউজ ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জের শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে এক ঘুষের মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করার অভিযোগে তাকে কান ধরে উঠ-বস করানো হয়েছিল, যা দেশজুড়ে আলোচিত হয়। নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার কল্যাণদীর পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তির বিরুদ্ধে ঘুষের অভিযোগ তোলেন একই স্কুলের ইংরেজির শিক্ষক মোর্শেদা বেগম।
অভিযোগপত্রে বাদী বলেন, চাকরি এমপিওভুক্ত করে দেওয়ার কথা বলে এক লাখ ৩৫ হাজার টাকা ঘুষ নেন শ্যামল কান্তি। কিন্তু তা করে দেননি বা টাকা ফেরত দিতেও অস্বীকৃতি জানান। এই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে নারাণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অশোক কুমার দত্ত আজ গ্রেপ্তারি আদেশ দেন।
গত বছরের ১৩ মে ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগ তুলে স্থানীয় এমপি সেলিম ওসমানের নির্দেশে শ্যামল কান্তিকে শারীরিক নির্যাতন ও কান ধরে উঠ-বস করানো হয়। এর দুই মাসের মাথায় ১৪ জুলাই ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, শিক্ষার্থীকে মারধর ও শিক্ষক মোর্শেদাকে এমপিওভুক্ত করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে ৩টি মামলার আবেদন নারায়ণগঞ্জের আদালতে জমা পড়ে।
প্রাথমিক শুনানি করে আদালত প্রথম দুটি মামলার আবেদন খারিজ করে দিলেও মোর্শেদা বেগমের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার বিষয়ে বন্দর থানা পুলিশকে তদন্ত করতে নির্দেশ দেয়। তদন্তের পর বন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হারুন অর রশিদ গত ১৭ এপ্রিল শ্যামল কান্তির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সেই অভিযোগপত্র আমলে নিয়েই আদালত বুধবার আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেয়।