প্রকৌশল পণ্যে রপ্তানি আয় বেড়েছে
---
নিজস্ব প্রতিবেদক : চলতি অর্থবছরের জুলাই-মার্চ মেয়াদে অর্থাৎ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে প্রকৌশল সরঞ্জাম রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৫৪ কোটি ২৬ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার বা ৪ হাজার ৪০৭ কোটি টাকা। গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এই খাতে রপ্তানি আয় ২৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ বেড়েছে। তবে তা এ সময়ের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৬ দশমিক ৬২ শতাংশ কম।
বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) এপ্রিল মাসে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এতে আরও জানানো হয়, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে প্রকৌশল পণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৫১ কোটি ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ওই বছরের প্রথম নয় মাসে এ খাতের পণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৪২ কোটি ৫৮ লাখ মার্কিন ডলার। চলতি অর্থবছরে প্রকৌশল পণ্য রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৮ কোটি ৪৯ লাখ মার্কিন ডলার। এর মধ্যে জুলাই-মার্চ মেয়াদে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪২ কোটি ৮৫ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার।
প্রকৌশল পণ্যের মধ্যে আয়রন স্টিল রপ্তানিতে চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে আয় হয়েছে চার কোটি ৬৯ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩১ দশমিক ০৬ শতাংশ বেশি। একই সঙ্গে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এ খাতের আয় ৪৪ দশমিক ২৭ শতাংশ বেশি। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে আয়রন স্টিল রপ্তানিতে হয়েছিল তিন কোটি ২৫ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার।
চলতি অর্থবছরের জুলাই-মার্চ মেয়াদে তামার তার রপ্তানিতে আয় হয়েছে দুই কোটি ৫৫ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার; যা এ সময়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেশি। একইসঙ্গে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এ খাতের রপ্তানি আয় ৩০ দশমিক ২৪ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে তামার তার রপ্তানিতে আয় হয়েছিল এক কোটি ৯৬ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার।
২০১৬-১৭ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ মেয়াদে স্টেইনলেস স্টিল তার রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮০ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ৬২ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার; যা এ সময়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২২ দশমিক ০৮ শতাংশ এবং আগের অর্থবছরের এ সময়ের তুলনায় ২৪ দশমিক ৭০ শতাংশ কম। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে স্টেইনলেস স্টিল তার রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৮৩ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার।
প্রকৌশল সরঞ্জাম রপ্তানিতে চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে আয় হয়েছে ৫০ কোটি ১০ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ দশমিক ৩১ শতাংশ বেশি। তবে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ কম। এ সময়ে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম রপ্তানিতে আয় হয়েছে সাত কোটি ২৬ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার।
চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ মেয়াদে বাইসাইকেল রপ্তানিতেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। আলোচ্য সময়ে এ খাতের রপ্তানি আয় ছয় কোটি ৩৪ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ এবং আগের অর্থবছরের প্রথম নয় মাসের তুলনায় ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ কম। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি মেয়াদে বাইসাইকেল রপ্তানিতে আয় হয়েছিল সাত কোটি ২৬ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার।