‘বাহুবলী ২’-এ সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পেলেন যিনি
---
বিনোদন ডেস্ক : ১০০০ কোটির মাইলস্টোন কবেই ছাপিয়ে গিয়েছে। এখন যতদূর এগোনো সেটাই নতুন রেকর্ড। বাহুবলীর বিজয়রথ থামাবার মতো ধারে কাছে আর কোনও ছবিই নেই। এ সপ্তাহে নতুন ছবি মুক্তি পেয়েছে বটে। কিন্তু বাহুবলীর সঙ্গে পাল্লা দিতে পারবে বলে মনে হয় না। অন্তত প্রথম দিনে ছবিগুলির উপার্জন সে ইঙ্গিতই দিচ্ছে। ফলে নতুন রেকর্ডের দিকে ‘বাহুবলী ২’ যে আগাচ্ছে এমনটা বলাই যায়।
বাহুবলীর এই সাফল্যের পিছনে প্রত্যেক কলাকুশলীদেরই সমান ভূমিকা আছে। যতখানি কৃতিত্ব কাটাপ্পার, ততখানি কৃতিত্ব শিবগামীরও। কিন্তু কে এ ছবিতে সবথেকে বেশি পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন?
অনেকেই এ প্রশ্নের উত্তরে প্রভাসকেই চিহ্নিত করছেন। ‘বাহুবলী’র প্রথম পর্ব থেকে দ্বিতীয় পর্বে-যেভাবে তিনি গোটা ছবিটিকে ধরে রেখেছেন, সাফল্যে উত্তীর্ণ করেছেন, তাতে তারই পারিশ্রমিক বেশি হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তিনি নয়। এ ছবির জন্য তিনি পেয়েছেন ২৫ কোটি টাকা।
বাহুবলীর প্রায় সমান জনপ্রিয়তা ছিল কাটাপ্পার জন্যও। কিন্তু তিনিও খুব বেশি পারিশ্রমিক পাননি। এই চরিত্রের জন্য অভিনেতা সত্যরাজ পেয়েছেন মাত্র ২ কোটি টাকা। এরপরেই দর্শকের পছন্দে এগিয়ে ছিলেন শিবগামী। কিন্তু সে চরিত্রের অভিনেত্রী রাম্য কৃষ্ণণ এ ছবির সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া শিল্পী নন। তার পারিশ্রমিক ছিল, ২.৫ কোটি টাকা। তাহলে দেবসেনা ছাড়া আর কে হতে পারে! অনুষ্কা শেট্টি যেভাবে সকলের মন জয় করেছেন তাতে এ ছবির সাফল্যের কৃতিত্ব অনেকটাই তার প্রাপ্য। কিন্তু এ ছবির জন্য তিনি পারিশ্রমিক পেয়েছেন ৫ কোটি টাকা।
অপর নায়িকা তমান্না ভাটিয়াও পেয়েছেন তাই-ই। যে ভল্লালদেবকে কেউই পছন্দ করেননি, তার পারিশ্রমিক কত জানেন? তিনি পেয়েছেন ১৫ কোটি। তাহলে এ ছবিতে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া শিল্পী কে? তিনি অবশ্যই পরিচালক এস এস রাজামৌলি।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, এ ছবির জন্য পরিচালক পেয়েছেন সর্বোচ্চ ২৮ কোটির প্যাকেজ। যার ভাবনায় গোটা দেশ বাহববলীতে মজেছে, তিনি ছাড়া আর কে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পেতে পারেন!