g আখাউড়ায় নিষিদ্ধ গাইড বইয়ের রমরমা ব্যবসা | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

শনিবার, ১৯শে আগস্ট, ২০১৭ ইং ৪ঠা ভাদ্র, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

আখাউড়ায় নিষিদ্ধ গাইড বইয়ের রমরমা ব্যবসা

AmaderBrahmanbaria.COM
ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৭

---

নিজস্ব প্রতিবেদক : আখাউড়ায় নিষিদ্ধ গাইড বইয়ের রমরমা ব্যবসা চলছে। আর এসব বই বেচাকেনা হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যোগসাজশে। প্রকাশনাগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো নানাভাবে প্রলোভন করে চালাচ্ছে গাইড বই বাণিজ্য। ফলে বাধ্য হয়ে শিক্ষার্থীদের চড়া দামে কিনতে হচ্ছে এসব বই। সরজমিনে দেখা যায় পৌর শহরের বইয়ের দোকানগুলোতে থাকে থাকে সাজানো বিভিন্ন প্রকাশনার গাইড বই, ইংরেজী গ্রামার ও বাংলা ব্যাকরণ বই। স্কুল থেকে গাইড বই কিনতে বাধ্য করায় অভিভাবকরা লাইব্রেরীতে ভিড় করছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক জানান, বিদ্যালয় থেকে নির্দিষ্ট প্রকাশনী ও লাইব্রেরীর নাম উল্লেখ করে বই কিনতে বলা হয়েছে। তাই আমি বই কিনতে এসেছি। আখাউড়া রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির তালিকায় দেখা যায়, ইনফোকাস প্রকাশনী গ্রামার ও ব্যাকরণ ও পপি গাইড বইয়ের নাম লেখা রয়েছে।

বইগুলো যে লাইব্রেরীতে পাওয়া যাবে সেই লাইব্রেরীর নামও তালিকায় উল্লেখ রয়েছে।  শাহ পীর কল্লা শহীদ উচ্চ বিদ্যালয়, দেবগ্রাম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়,  আমোদাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়সহ গ্রামার ও ব্যাকরণ বই  বিভিন্ন বিষয়ে সহায়ক বই কেনার জন্য নির্দিষ্ট প্রকাশনী ও লাইব্রেরীর নাম উল্লেখ করে ছাত্রছাত্রীদেরকে গাইড বই কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে। আরেক অভিভাবকের সাথে কথা বলে জানা যায়, তার মেয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ে। স্কুল থেকে গাইড বই কেনার জন্য তালিকা দিয়েছেন তাই মেয়ের জন্য তিনি গাইড বই কিনতে এসেছে। ১ হাজার ১শ’ ৫০ টাকায় এক সেট গাইড বই কিনেছেন তিনি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক বই বিক্রেতা জানান, প্রকাশনীগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ম্যানেজ করে ব্যবসা চালাচ্ছে। যে প্রকাশনী স্কুলকে বেশি সুবিধা দেয়, সেই প্রকাশনীর বই বেশি বিক্রি হয়। বিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীদেরকে যে গাইড বই কিনতে বলা হয়েছে সেটিই চলে। বিনিময়ে তারা প্রকাশনীর কাছ থেকে বেশ বড় ধরনের সুযোগ সুবিধা আদায় করে নেয়। ওই ব্যবসায়ী আরো জানান, প্রকাশনীর প্রতিনিধিরাই তাকে এই প্রশ্ন জানিয়েছে।

এ ব্যাপারে হীরাপুর শহীদ নোয়াব মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক জানান, সরকার গাইড নিষিদ্ধ করেছে। তবুও লাইব্রেরীর মালিকরা অনেকটা দাপটের সাথেই সরকারের নিষেধাজ্ঞাকে উপেক্ষা করে দোকানের সামনে থাকে থাকে গাইড বই সাজিয়ে বিক্রি করছে। তাই গাইড বই যাতে মার্কেটে না থাকে সেজন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবী জানান। এ ব্যাপারে আখাউড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা  মোঃ দেলোয়ার হোসেন জানান, সরকারি বই ব্যতীত অন্য কোন বই পড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। যদি কেউ এটা করে থাকে তাহলে তা অবশ্য তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ জাতীয় আরও খবর