g মাশুয়ারা নেওয়া অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গিয়ে জনরুশে রেলকর্তৃপক্ষ | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

বৃহস্পতিবার, ২৬শে অক্টোবর, ২০১৭ ইং ১১ই কার্তিক, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

মাশুয়ারা নেওয়া অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গিয়ে জনরুশে রেলকর্তৃপক্ষ

AmaderBrahmanbaria.COM
জানুয়ারি ২৩, ২০১৭

---

বিশেষ প্রতিনিধি : আখাউড়া রেলওয়ে জংশনের অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন অভিযান শুরু করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। গতকাল  সোমবার সকাল থেকে আখাউড়া জংশনের বিদ্যুৎ বিভাগ, জিআরপি পুলিশ ও নিরাপত্তাবাহিনীর একটি দল এই অভিযানে নামে।সকাল থেকে  নানা বাধাঁ বিপক্তি পেরিয়ে দুপুর পর্যন্ত চলে তাদের এই অভিযান। চায়ের দোকান , হোটেলসহ বেশ কিছু বাসা-বাড়ির  অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। তবে এসময় বেশ কয়েকজন অবৈধ বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী খোলামেলা ভাবেই তাদের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া অন্য ভাবে প্রকাশ করেন। মাশুয়ারা টাকা  মানে (প্রতিমাসে অবৈধভাবে)  নেওয়া বিলের কথা বলে সংযোগ ব্যবহারকারি  লোকজন বিদ্যুৎ কর্মকর্তা মনোজ মিত্রকে সরাসরি বলেন, “মাসে মাসে ট্যাহা নেন, এখন লাইন কাটতে আইছেন কেন”এনিয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে তাদের বাক বিতন্ডা প্রকাশ্যেই হয়। অনেকে আবার এ অভিযানকে লোক দেখানো  আখ্যা দিয়ে বলেন, কদিন পরে আবার  বেশি টাকা নিয়ে ঠিকই সংযোগ দেওয়া দিয়া যাইবো। নাম প্রকাশ না করার শর্তে  এক নারী অবৈধ ভাবে সংযোগ ব্যবহারকারী এক মহিলা জানান, মাসে ৮শত টাকা করে বিল দেই এখন কোন কিছু না জানাইয়া আমাদের লাইন কাটতে আইছে ।

বিভিন্ন সূএে জানা যায়, আখাউড়া রেলওয়ে জংশনে প্রায় চার শতাধিক বাসা ও  অর্ধশতাধিক  ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে। রেলওয়ে বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন এ অবৈধ সংযোগ দেয়ার সাথে জড়িত বলে অভিযোগ আছে। ওইসব অবৈধ সংযোগ থেকে মাসে পাঁচশ থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত ভাড়া আদায় করা হয়। প্রতি মাসে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে রেলের ওই অসাধু চক্রটি।আর চক্রটি অবৈধ ভাবে হাতিয়ে নেওয়ার অতিরিক্ত টাকার মাশুল মানে  বিদ্যুতের বিল বহন করতে রেল কর্তৃপক্ষকে।রক্ষকি যেন অনেকটা ভক্ষকের ভূমিকা পালন করছে এক্ষেএে।

আখাউড়া রেলওয়ে জংশনের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) মনোজ মিত্র বলেন, অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন অভিযান শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে। তবে কতগুলো সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে তা তিনি পষ্ট করে কিছু জানাননি।

এ জাতীয় আরও খবর