g আখাউড়ায় অভাবের তাড়নায় ৫০০টাকায় সন্তান বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

বৃহস্পতিবার, ২৬শে অক্টোবর, ২০১৭ ইং ১১ই কার্তিক, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

আখাউড়ায় অভাবের তাড়নায় ৫০০টাকায় সন্তান বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে

AmaderBrahmanbaria.COM
জানুয়ারি ৩০, ২০১৭

---

নিজস্ব প্রতিবেদক আশুগঞ্জ উপজেলার দূর্গারামপুর গ্রামের এক স্ত্রী তার সন্তানকে বিক্রি করে অঝরে কাঁদছেন। সংসারে অভাব-অনটনের কারণে হার মানলেন তিনি । অভাবের তাড়না সহ্য করতে না পেরে মাত্র ৫০০ টাকার বিনিময়ে আশা মণি দেড় বছরের এক শিশুকে মা বিলকিছ বেগম বিক্রি করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে । আর এই ঘটনাটি ঘটেছে গত ২০ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায়। এই  ঘটনার পরিপেক্ষিতে গত রোববার (২৯) জানুয়ারি দুপুরে বিলকিছের আর্তনাদে বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। বিলকিছ ওমর ফারুকের স্ত্রী সরাইল উপজেলার পানিশ্বর গ্রামের দিল্লুর আলীর মেয়ে।
স্হানীয় ভাবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অভাববের তাড়নায় গত ২০ জানুয়ারি বিলকিছ তার দেড় বছর বয়সী মেয়ে শিশু আশা মণিকে মাত্র ৫০০ টাকার বিনিময়ে আখাউড়া উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের রুহুল আমিন নামে এক ব্যক্তি তার নিঃসন্তান আত্মীয়ের জন্য কিনে নেন। ওদিন রাতে নিজ সন্তানকে অন্যের হাতে তুলে সারা রাত ঘুমাননি বিলকিছ। পরদিন  সন্তানের জন্য রুহুলে আমিনের বাড়িতে গিয়ে আর্তনাদ করছেন মা বিলকিছ। তবে রুহুল তার সেই নিঃসন্তান আত্মীয়ের ঠিকানা দিচ্ছেন না বিলকিছকে। বিলকিছ বেগম বলেন, আমার সন্তান জন্মের পর স্বামী আমাকে ছেড়ে চলে গেছে। এজন্য সন্তানকে নিয়ে আখাউড়ায় চলে আসি কাজের সন্ধানে। কোনো কাজ না পেয়ে অভাবের কারণে ছন্নছাড়া হয়ে পড়ি। তাই সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে নামে মাএ ৫০০ টাকার বিনিময়ে রুহুল আমিনের হাতে আশা মণিকে তুলে দেই। তিনি আরও বলেন, সন্তানকে অন্যের হাতে তুলে দেয়ার পর এক রাতের জন্যও ঘুমাতে পারিনি। সন্তান তুলে দেয়ার সময় শর্ত ছিল- মন চাইলে আমি সন্তানের মুখ দেখতে পারবো।
এ জন্য গত ৯ দিন ধরে রুহুল আমিনের বাড়িতে বসে কাঁদছি। কিন্তু ওরা এখন আমাকে সন্তানের দেখতে না দিয়ে উল্টো এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি দিচ্ছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আখাউড়া পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মন্তাজ মিয়া মুঠোফোনে বলেন, আশুগঞ্জের এক মহিলা তার বাচ্চাটার দেওয়ার জন্য আমার গ্রামের রুহুল আমিনের সাথে কথা বলে আবার রুহুল আমিন তার  আত্নীয় জন্য অথাৎ  বাঈরা ভাই জন্য বাচ্চাটা নিয়েছে বলে আমি জানতে পারির।আমার কাছে আসার পর আমি তাদের বলেছি একজন উকিল মার্ধমে বাচ্চাটা তোমরা মার কাছ থেকে নিও।এখন কয়েকদিন পর বাচ্চার মা বিলকিছ আমার কাছে আসছে তার বাচ্চাটা দেখতে কিন্তু রুহুল আমিন বিলকিসকে কোন ভাবে খোঁজ দিচ্ছেনা।তখন  আমি শুনে রুহুল আমিনের মাকে ডেকে এনে বলে দিয়েছে ওই শিশুটিকে যেন তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেয় হয়। তবে তিনি বলেছেন, শিশুটি এখন তাদের কাছে নেই। তাদের এক আত্মীয়ের কাছে আছে।
এব্যাপারে আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোশারফ হোসেন তরফদার সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমি ঘটনাটি এই মাএ শুনলাম।ঘটনার তদন্ত করে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা নিব।

এ জাতীয় আরও খবর