১৫ ফেব্রুয়ারি আরাফাত সানির জামিন শুনানি
স্পোর্টস ডেস্ক : রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় ক্রিকেটার আরাফাত সানির জামিন শুনানির জন্য আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
ঢাকায় অবস্থিত বাংলাদেশের একমাত্র সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক কে এম শামসুল আলম বৃহস্পতিবার এ দিন ধার্য করেন। এর আগে আরাফাত সানির আইনজীবী এম জুয়েল আহমেদ জামিন চেয়ে আবেদন করেন। পরে প্রাথমিক শুনানি শেষে নিয়মানুয়ায়ি বিচারক অধিকতর শুনানীর জন্য ১৫ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।
এ বিষয়ে বাদি পক্ষের আইনজীবী এম কামাল উদ্দিন আহম্মদ ও নাসিম জাহান রুবি সাংবাদিকদের জানান, বাদি পক্ষে ওই দিন আমরাও আসামির জামিন আবেদনের বিরোধীতা করে আদালতে শুনানিতে অংশ নিবো। এজন্য আমারা প্রস্তুত আছি। এর কারণ মামলা বর্তমানে তদন্তের পর্যায়ে রয়েছে। এ আসামি জামিনে মুক্তি পেলে তদন্তে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। মামলার সাক্ষিদের ভয় দেখাতে পারে। এছাড়া তদন্ত কর্মকতাকে প্রভাবিত করতে পারে।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আরাফাত সানিকে রিমান্ড শেষে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় অভিযোগ করা হয়, সাত বছর আগে পরিচয় ও ঘনিষ্ঠতার সূত্র ধরে ২০১৪ সালের ৪ ডিসেম্বর উভয়ের পরিবারকে অবহিত না করেই সানির সঙ্গে তিনি গোপনে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু, বিয়ের পরে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজ বাড়িতে তুলে না নিয়ে আরাফাত সানি সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। এমনকি তিনি সম্পর্ক ছিন্ন করার প্রস্তাব দিলেও সানি তাতে কান দেননি। এরপর গত ১২ জুন রাত ১টা ৩৫ মিনিটে সানি তার নাম ব্যবহার করে নিজের মোবাইল ফোন নম্বর দিয়ে একটি ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলেন এবং ওই আইডি দিয়ে তরুণীর নিজস্ব অ্যাকাউন্টে তাদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের কিছু ছবি ও একক ছবি ফেসবুক মেসেঞ্জারে পাঠিয়ে ওই তরুনীকে নানারকম হুমকি দিতে থাকেন। এ ঘটনায় গত ৫ জানুয়ারি আরাফাত সানির বিরুদ্ধে এ মামলা করেন ওই তরুণী।
এছাড়া যৌতুক আইনে ক্রিকেটার আরাফাত সানির বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে করা হয়েছে। যৌতুকের মামলায় অভিযোগ করা হয়, আরাফাত সানির সঙ্গে ২০১৪ সালের ৪ ডিসেম্বর ওই তরুণীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর তারা বাসা ভাড়া নিয়ে একসঙ্গে থেকেছেন। একসঙ্গে তারা বিদেশে বেড়াতেও গিয়েছেন। ওই তরুণীর অভিযোগ, সানির পরিবার তাদের বিয়ে মেনে না নেওয়ায় তাকে তুলে নেওয়া হয়নি। এক পর্যায়ে সানি তার কাছে ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন এবং টাকা দিলে ঘরে তুলে নেবেন বলে জানান। যৌতুকের দাবিতে তাকে মারধরও করা হয়। মামলার আর্জিতে আরাফাত সানির মা নার্গিস বেগমকেও আসামি করার আবেদন করেছেন ওই তরুণী। সূত্র, বিডিপ্রতিদিন