সহায়ক শিক্ষার নামে বাজারে গাইড বইয়ের ছড়াছড়ি
নিউজ ডেস্ক : সহায়ক শিক্ষা বই নামে বাজারে এসেছে শত শত গাইড বই। সহায়ক শিক্ষা হিসাবে বাজারে প্রচলিত এইসব বই শিক্ষার্থীদের জন্য কতখানি সহায়ক সেটি বিচার করারও সুযোগ থাকছে না অভিভাবকদের। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চাপে অনেকটা বাধ্য হয়ে এসব বই কিনতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।
নোট, গাইড বই আর কোচিং বাণিজ্য থেকে শিক্ষা ব্যবস্থা বাঁচাতেই চালু করা হয় সৃজনশীল পদ্ধতি। তবে সহায়ক শিক্ষা বইয়ের উপর নির্ভরতার কারণে ব্যাহত হচ্ছে সৃজনশীল শিক্ষা পদ্ধতির আসল উদ্দেশ্য। যদিও এ বিষয়ে কিছু বলতে নারাজ শিক্ষকরা।
অকপটেই সত্যতা স্বীকার করে প্রকাশক আলমগীর সিকদার লোটন বলেন, ‘সৃজনশীল পদ্ধতি শিক্ষক বোঝে না। আর ছাত্র-ছাত্রীদের বোঝানোর জন্য আমরা শুধু ধারণা দেই। আসলে এর মানে একে নোট বই বলে না। এটা শুধু মাত্র একটি সহায়ক বই। আমি চাইবো আমার বইটি চলুক। কিন্তু শিক্ষক কেন আমরা এই অনৈতিক কাজটি গ্রহণ করছে?’
তবে পুরো বিষয়টি আইনি কাঠামোর আওতায় আনার আশ্বাস দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেন, ‘প্রকাশকদের দাবি আমরা যেন তাদেরকে নিয়ন্ত্রণহীন ভাবে ছেড়ে দেই। আর এটা হবে না। আমরা আইন করছি খুব শিগগিরই গাইড বই বাতিল করা হবে।’
শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ বলেন, ‘শিক্ষকরা যেন মূল পাঠ্যপুস্তক পড়ে তাদের মেধার বিকাশ ঘটতে পারে এ জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে হবে। একদিকে আমরা বলছি গাইড বই চাই না। অন্যদিকে স্কুল থেকে বলছে গাইড বই কিনতে বলছে কেন?’
শিক্ষক আর প্রকাশদের এই শৃঙ্খলা ভেঙ্গে দিতে না পারলে শিক্ষা ব্যবস্থাকে এর চরম মূল্য দিতে হবে বলেও জানান এই শিক্ষাবিদ।সূত্র: সময় টিভি