বাংলাদেশের পক্ষ নেওয়াতেই চাকরি গেল হর্ষ ভোগলের !
২০১৬-এর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত-বাংলাদেশের ম্যাচের সময় থেকেই হর্ষ ভোগলেকে নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়। এর পরে আইপিএল-এর ঠিক ১০ দিন আগেই ধারাভাষ্যকারের চাকরি থেকে বরখাস্ত হন ভোগলে।
আইপিএল-২০১৬ শুরুর ঠিক ১০ দিন আগে বরখাস্ত হন জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার হর্ষ ভোগলে। এই নিয়ে চারদিকে বিতর্কের ঝড় উঠে। শোনা গিয়েছিল, ভারতের জাতীয় দলের কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটার হর্ষ ভোগলেকে পছন্দ করেন না। সেই কারণেই তাকে বরখাস্ত করা হয়। ওই ঘটনার পরে গত এক বছর হর্ষ ভোগলেকে কোন ক্রিকেট ম্যাচে ধারাভাষ্যকার হিসেবে দেখা যায়নি।
প্রায় এক বছর পরে এই ঘটনা নিয়ে ফের মুখলেন তিনি। সম্প্রতি একটি সর্বভারতীয় সংবাদপত্রে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে হর্ষ ভোগলে জানান, তাকে কেন বরখাস্ত করা হল, সে বিষয়ে কোনরকম ব্যাখ্যাই নেই তার কাছে। তিনি বলেন, ‘যদি এমনটা হত যে আমি সম্প্রচারের নীতি ভঙ্গ করেছি কিংবা আমি ভাল ধারাভাষ্যকার নই, তবে তাও মেনে নেওয়া যেত। কিন্তু কেউ আমার মুখের দিকে তাকিয়ে বলতে পারেনি যে তোমার বরখাস্তের পিছনে এই কারণ রয়েছে।
সংবাদমাধ্যমগুলিতে প্রকাশ পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৬-এর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত-বাংলাদেশের ম্যাচের সময় থেকেই হর্ষ ভোগলেকে নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়। ভারত ম্যাচটি জিতে গেলেও অমিতাভ বচ্চনের টুইটের পর হর্ষ ভোগলেকে নিয়ে শুরু হয় সমস্যা। ওই টুইটে অমিতাভ লিখেছিলেন, ‘কোন ভারতীয় ধারাভাষ্যকারের উচিত সবসময় বিদেশি দলের হয়ে কথা বলার বদলে নিজেদের দেশের খেলোয়াড়দের হয়ে কথা বলা। ’ বিগবি-এর এই টুইটকে সমর্থন করে ভারতীয় অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনিও রিটুইট করেছিলেন। এর ঠিক পরেই আইপিএলের ভাষ্যকার দল থেকে বাদ পড়ে যান ভোগলে।
সূত্র: এবেলা