নিজস্ব প্রতিবেদক : গরুটির নাম ‘উলুবাড়ির ষাঁড়’। গরুটি কুষ্টিয়া থেকে গাবতলী হাটে এনেছেন বশির বেপারি। সাদা রঙের গরুটির দাম হাঁকা হয়েছে ২০ লাখ টাকা। শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দাম উঠেছে ১১ লাখ টাকা পর্যন্ত।
তবে এই টাকায় গরুটি বিক্রি করবেন না বশির। প্রত্যাশিত দামের জন্য অপেক্ষা করবেন তিনি। তার মতে, সাড়ে পাঁচ ফুট উচ্চতার উলুবাড়ির ষাঁড়টি গাবতলী হাটের সেরা গরু। এতে ৩০ মণের ওপর মাংস পওয়া যাবে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর গাবতলী গরুর হাটে এ প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় বশির বেপারির।
তিনি জানান, এক বছর আগে গরুটি তিনি ভারত থেকে কিনেছেন। এরপর একে অনেক যত্নে লালন-পালন করেছেন। এই উলুবাড়ির ষাঁড় ছাড়াও তিনি আরও ছয়টি গরু বিক্রির জন্য হাটে এনেছেন। সব কটি গরু মিলিয়ে ৪০ লাখ টাকা দাম পাবেন বলে আশা করছেন বশির বেপারি।
এদিকে গরুটি দেখার জন্য দর্শনার্থী ও ক্রেতাদের ভিড় লেগেই থাকে। নূরুল ইসলাম নামের এক যুবক হাটে এসেছেন গরু দেখতে। বাজার ঘুরে তার চোখে ‘উলুবাড়ির ষাঁড়’ই সেরা মনে হয়েছে। তিনি গরুটির সঙ্গে সেলফিও তোলেন।
চয়ন নামের আরেক দর্শনার্থী জানান, এবার বাড়ি যাননি বলে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করা হবে না। তবে হাটে গরু দেখে সেই শূন্যতা লাঘব করা চেষ্টা করছেন।
বেচাকেনায় মন্দা
গাবতলীর হাট ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ বেপারি হাত গুটিয়ে বসে আছেন। বেচাবিক্রি তেমন নেই। তবে আগামীকাল শনিবার থেকে পুরোদমে বিক্রি শুরু হবে বলে আশা করছেন তারা।
তসলিম উদ্দিন নামের একজন বেপারি জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে তিনি এসেছেন ১০টি গরু নিয়ে। এখনো পর্যন্ত একটি গরুও বেচতে পারেননি। তিনি জানান, ক্রেতারা ঘুরে ঘুরে গরু দেখে আর দাম জিজ্ঞাসা করে, কিন্তু কেনে না। তবে তিনি আশা করছেন, কাল থেকে গরু বিক্রি শুরু হবে।
পাবনা থেকে এসেছেন মকবুল বেপারি। তিনি অস্ট্রেলিয়ান একটি গরু এনেছেন। দাম হাঁকিয়েছেন ১৬ লাখ টাকা। গতকাল ৯ লাখ টাকা দাম উঠলেও তিনি আশা করছেন, ১৫ লাখেই বিকোবে গরুটি।
আজগর নামের আরেক বেপারি নয়টা গরু নিয়ে হাটে এলেছেন, কিন্তু এখনো একটাও বিক্রি হয়নি। এগুলো বিক্রি হলে আরও ২২টি গরু হাটে আনার পরিকল্পনা আছে তার।