লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি: নানা অনিয়মের কারণে অর্ধশত বছরের ঐতিহ্য ও গৌরব হারাতে বসেছে বান্দরবানের লামায় মাধ্যমিক পর্যায়ের সবচেয়ে বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘লামা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়। শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাই ও মূল্যায়নে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অর্ধবার্ষিক বা প্রাক নির্বাচনী পরীক্ষা নেওয়া হলেও এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে পরীক্ষার খাতা না কেটে মনগড়া নম্বর দিয়ে ফলাফল ঘোষণার অভিযোগ উঠেছে। আর এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
সরেজমিন দেখা যায়, গত জুন মাসে অনুষ্ঠিত লামা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির শারীরিক শিক্ষার অর্ধবার্ষিক পরীক্ষায় ১৪০ জন ছেলে-মেয়ে অংশগ্রহণ করে। কিন্তু ওই বিষয়ের শিক্ষক নুরুল ইসলাম ফরিদ কোন খাতা না কেটে ১৪০ ছাত্র-ছাত্রীকে মনগড়া নম্বর দিয়ে নম্বরফর্দ জমা দেন। প্রধান শিক্ষক পরীক্ষার খাতা স্ব-স্ব ক্লাসে পুনঃযাচায়ের জন্য শিক্ষার্থীদের দেখতে বললে বিষয়টি জানাজানি হয়।
বিষয়টি নিয়ে জানতে শারীরিক শিক্ষা বিষয় ভিত্তিক শিক্ষক নুরুল ইসলাম ফরিদকে মুঠোফোনে কল করলে মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে লামা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোক্তার হোসাইন বলেন, বিষয়টি আমি জানতে পেরে পরীক্ষার খাতাগুলো জব্দ করে উপজেলা শিক্ষা অফিসার, ইউএনও সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে জানিয়েছি। এটা গুরুতর অন্যায়। অতি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
লামা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ইতোমধ্যে আমরা তদন্ত কমিটি করে দিয়েছি। এই অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।