রহস্যজনকভাবে সিসি ক্যামেরা থেকে গায়েব বাবুল আক্তারের স্ত্রীর হত্যাকা-ের দৃশ্য (ভিডিও)
পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রীর হত্যাকান্ড সম্পূণর্ পূর্ব পরিকল্পিত । সিসি ক্যামেরা বিশ্লেষণ করে এ ব্যপারে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। ঘটনাস্থলের উভয় পাশে অনেক প্রতিষ্ঠান থাকলেও একটি ছাড়া কোনো সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েনি হত্যাকান্ডের দৃশ্য। রহস্যজনকভাবে গায়েব হয়ে গেছে একটি মন্দিরে ধারণ করা দৃশ্যও। পুলিশের কাছে থাকা ফুটেজও অস্পষ্ট তাই বেগ পেতে হচ্ছে খুনিদের শনাক্ত করতে।
নগরির জিএসসি মোড়ে ওয়েল ফুডের ঠিক পাশেই খুন হয় মাহমুদা আক্তার। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি সিসি ক্যামেরা ছিলো ঘটনাস্থলের ঠিক বিপরীতমুখী। পাশে সাইনবোর্ড ছিলো তাই ধরা পড়েনি হত্যাকান্ডের দৃশ্য। ঘটনা স্থানের একটু দূরে কালিমন্দিরের সিসিটিভির ফুটেজে থাকার কথা ছিলো খুনিদের পালিয়ে যাওয়ারি দৃশ্য তবে রহস্যজনকভাবে ঐদিন সকাল ৯টা ২২ মিনিটের আগ পর্যন্ত ধারণ করা সব ফুটেজ মুছে দিয়েছে কে বা কারা।
৬০ লাখ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাবুল আকতার চট্টগ্রাম নগরীর ৫০টি পয়েন্টে ১৩৯টি সিসি টিভি ক্যামেরা স্থাপনের ব্যবস্থা করেছিলেন, এখন তার স্ত্রীর হত্যাকারীদের শনাক্তের জন্য তিনি সে ক্যামেরার কোন সহযোগিতা পাচ্ছেন না।
বিল বোর্ডের কারণে সব ক্যামেরা গুটিয়ে নেয়ায় এখন হত্যাকারীদের আইনের আওতায় আনতে ভরসা করতে হচ্ছে অন্যান্য ফুটেজের ওপর। তাও আবার মান সম্মত না হওয়ায় খুনিদের নিশ্চিতভাবে শনাক্ত করা যাচ্ছে না।
পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের হত্যাকারীদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে পুলিশকে এখন ভরসা করতে হচ্ছে এই ঝাপসা সিসি ক্যামেরার ফুটেজের উপর। তাই আবার এটি পার্শ্ববর্তী প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিসি ক্যামেরার সরবরাহ করা ফুটেজ।
অথচ গত দেড় বছর আগে নগরীর নিরাপত্তায় প্রায় ১৩৯টি ক্যামেরা নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে লাগিয়েছিলেন তৎকালীন গোয়েন্দা শাখার কর্মকর্তা বাবুল আকতার।
কিন্তু নানা কারণে এসব ক্যামেরা অচল থাকায় পুলিশের ক্যামেরার কোন ছবিই পাওয়া যাচ্ছে না।
তবে ক্যামেরাগুলো সক্রিয় থাকলে অপরাধীদের সহজেই সনাক্ত করা যেতো বলে মনে করেন চিটাগাং কমিউনিকেশন লিমিটেডের পরিচালক শ্যামল কুমার পালিত।
যমুনা টিভি ও সময় টিভি