অসুস্থ বাবার চিকিৎসা ও মুক্তির দাবিতে ব্রিটেনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন শফিক রেহমানের ছেলে অমিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : ব্রিটিশ-বাংলাদেশি সাংবাদিক শফিক রেহমানকে কারাগারে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দিতে অস্বীকৃতি জানানো হয়েছে বলে দাবি করেছে তার পরিবার। এজন্য অসুস্থ বাবার চিকিৎসা ও মুক্তির দাবিতে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন শফিক রেহমানের ছেলে সুমিত।ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইন্ডিপেন্ডেন্টকে সুমিত জানান, গুরুতর বুক ব্যথা ও ডায়রিয়া অবস্থায় তার বাবাকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমার বাবাকে সর্বাধিক নিরাপত্তা সেলে নির্জন কারাগারে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে তার তদন্তও অপেক্ষমান রয়েছে।’
তিনি অভিযোগ করেন, গত মাসে ফ্যান ছাড়াই কারাগারের মেঝেতে ঘুমাতে হয়েছে তার বাবাকে। এ সেলটি প্রায় দিনে ২৩ ঘণ্টা তালাবদ্ধ থাকে।শফিক রেহমানের ধমনীতে একটি নল প্রতিস্থাপন করা আছে। পাশাপাশি ডায়াবেটিকে আক্রান্ত তিনি। তার প্রতিদিন ওষুধ দরকার। কিন্তু কেউ তাকে তা দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন সুমিত।
শফিক রেহমান বর্তমানে স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছেন। হাসপাতাল থেকে তাকে ঢাকা জেলে পাঠানো হয়েছে। সঙ্গে চিকিৎসা সুবিধাও রয়েছে। কিন্তু তার পরিবার বলছেন, তার স্বাস্থ্য নিয়ে তারা ক্রমবর্ধমান উদ্বেগে রয়েছেন। এ বিষয়ে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে সুমিত।অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, রেহমানকে যে অবস্থায় আটকিয়ে রাখা হয়েছে, তা বন্দিদের জন্য প্রণীত আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। বাংলাদেশ এ আইন মানতে বাধ্য। আটকদের প্রতি নিষ্ঠুর, অমানবিক ও মর্যাদাহানিকর আচরণ বা তাদের শাস্তি দেয়া এ আইনের লঙ্ঘন।
ব্রিটেনের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক মানবাধিকার সংগঠনের পরিচালক চম্পা বলেন, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই রেহমানের নির্জন কারাবাসের অবসান ঘটাতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে তার কল্যাণ। একজন ৮১ বছর বয়সী ডায়াবেটিক রোগীকে প্রয়োজনীয় স্বাস্ব্য সেবা দিতে অস্বীকৃতি জানানো অত্যন্ত বেদনাদায়ক বলে মন্তব্য করেন তিনি।সুমিতের সাংসদ ম্যাথু অফোর্ড ইন্ডিপেন্ডেন্টকে জানান, তিনি এ অবস্থা সম্পর্কে অবগত আছেন। পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি তিনি ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করেছেন।
ইন্ডিপেন্ডেন্ট এ বিষয়ে মন্তব্য নেয়ার জন্য বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনে যোগাযোগ করলে কোন সাড়া পায়নি।৮১ বছর বয়সী রেহমান ব্রিটিশ-বাংলাদেশের দ্বৈত্ব নাগরিক প্রাপ্ত একজন প্রসিদ্ধ সাংবাদিক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যা চক্রান্তের অভিযোগে ১৬ এপ্রিল তাকে আটক করা হয়।