দুই স্বামী-দুই প্রেমিককে নিয়ে গৃহবধূ ফারজানার সংসার!
গত সাত বছর ধরে চলে আসছে সুন্দরী গৃহবধূ ফারজানা আক্তার তিথির ছলনা। দুই স্বামীকে নিয়ে গোপনে সংসার করছিলেন তিনি। অবশেষে ধরা পড়লেন এই গৃহবধু। এ ঘটনায় লক্ষ্মীপুর শহরের সমসেরাবাদ এলাকায় রীতিমতো চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, ফারজানা আক্তার তিথি এর সাথে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ৩ নম্বর দালাল ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড খন্দকারপুর গ্রামের আব্দুল হাই ছেলে, আব্দুর রহিমের সঙ্গে বিয়ে হয়। তার সাথে ঘর-সংসার করা অবস্থায় তিথি ২০১২ সালে গোপনে মোবাইলে প্রেম করে নারায়ণগঞ্জ দেওভোগ মাদ্রাসা বেপারি বাড়ির মালয়েশিয়া প্রবাসী সহিদুল ইসলাম আপন এর সাথে। ওই সময় তিথি নানান অজুহাতে সহিদুলের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।
এরপর ২০১৭ সালের নভেম্বরে আপন দেশে আসলে গোপনে ঢাকা রামপুরা কাজী অফিসে এক লক্ষ ৩০ হাজার টাকা দেন মোহরে আপনকে বিয়ে করে তিথি। এরপর থেকে গোপনে নারায়ণগঞ্জ, কক্সবাজার, লক্ষ্মীপুর গোডাউন রোড ফিরোজ হোটেলসহ বিভিন্ন জায়গায় একত্রে থেকেছেন তারা। পরে আপন বিদেশে চলে গেলে রহিমের সংসারে চলে আসেন তিথি। এভাবে কৌশলে দুই স্বামীর সংসার চালিয়ে আসছিলেন তিথি। বর্তমানের আব্দুর রহিম ও আপন দুইজনে প্রবাসে রয়েছেন।
এ বিষয়ে দ্বিতীয় স্বামী আপন জানান, ফারজানা আক্তার তিথি স্বামী আব্দুর রহিমের সংসারে থেকে, নিজেকে অবিবাহিতা দাবি করেছিল। এক পর্যায়ে আমাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ে সাত বছর থেকে এটি চলে আসছে। এতে সহযোগিতা করেছেন তার মা শ্যামলী ও চাচাত বোন নাছিমা। এই সাত বছরে তিথি ও তার পরিবার আমার কাছ থেকে বিভিন্ন অজুহাতে মোট সাড়ে ছয় লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সুন্দরী গৃহবধূ ফারজানা আক্তার তিথি লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সমসেরাবাদ ৭ নম্বর ওয়ার্ড সরকারী কলেজ হোস্টেল সংলগ্ন হাবিবুর রহমান পাটোওয়ারী বাড়ির মৃত সেনা সদস্য তোফায়েল আহাম্মেদ ও ভবাণীগঞ্জ হেলথ কর্মচারী শ্যামলী আক্তার ইয়াসমীনের মেয়ে।
তিথি বিভিন্ন নামে এলাকায় ও এলাকার বাহিরে পরিচিত। বাবার মৃত্যে পর তার মা শ্যামলীসহ এই মেয়ে অনেক যুবককে প্রেমের ফাঁদে ফেলে টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালঙ্কার লুটে নেয়। তার দুই স্বামী ছাড়াও বর্তমানে আরো দুই প্রেমিক আছে।