খুব চিপস খান? সাবধান!
আপনি কোথাও ঘুরতে যাচ্ছেন, এসময় সঙ্গে অবশ্যই একটি পটেটো চিপসের প্যাকেট থাকবেই। সিনেমা হলে গিয়ে যদি পটেটো চিপস অথবা পপকর্ন না খাওয়া হয়, তাহলে মনে হয় ছবি দেখতে আসার মানে হলো কি!
কোনো ভাবেই যেন বাদ পরে না- সকালে, দুপুর, বিকেলে চায়ের সঙ্গে কিংবা হোক সে রাতে খাবারের সময় বা যখন তখন কোল্ড ড্রিঙ্কস পানের-এর সঙ্গে পটেটো চিপস খাওয়া। যখন মন চাইলো, আর দোকান থেকে কিনে খেয়ে নিলেন। অবশ্য ছোট্টবাচ্চাদের মধ্যে বাজার চলতি নানা মুখরোচক স্বাদের পটেটো চিপস খাওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা যায়।
কিন্তু, আপনি জানেন কি, বাজার চলতি মুখরোচক চিপসের মধ্যেই রয়েছে এমন এক রকমের রাসায়নিক উপাদান যা ক্যানসারের মতো মারণ রোগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে!
সম্প্রতি এমনই এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সুইডিস ন্যাশনাল ফুড অথোরিটির একটি গবেষণায় উঠে এসেছে। এক্রাইলামাইড বা এক্রিলামাইড (Acryl amide) প্রাকৃতিক ভাবে সংগঠিত এমন এক প্রকার রাসায়নিক যৌগ যা উচ্চক্ষম শর্করা বহনকারী শস্য বা সবজিতে থাকে এবং উচ্চতাপ মাত্রায় উত্তপ্ত হলে সেই যৌগ গঠনে সক্ষম হয়। মানুষের আয়ু কমানোর জন্য এই রাসায়নিক যৌগটির যেমন বিশেষ ভূমিকা রয়েছে তেমনি এটি ক্যানসারের কোষকে দ্রুত বাড়তে সাহায্য করে বলে মতামত দিয়েছেন এই সুইডিস গবেষকরা।
আমরা সবাই জানি যে, আলু এক রকম উচ্চ শ্বেতসার সমৃদ্ধ সবজি বা শস্য। এই আলুর অতি পাতলা করে কাটা টুকরো অতিরিক্ত লবণ মাখিয়ে ডুবো তেলে অনেক ক্ষণ ধরে ভাজার পর তা সংরক্ষণ করতে উচ্চতাপমাত্রার ব্যবহার করা হয়। ফলে এর খাদ্যগুণ অনেকাংশেই নষ্ট হয়। শুধু তাই নয়, এই পদ্ধতিতে প্যাকেটজাত করা আলুর চিপসে এক্রাইলামাইড জাতীয় ক্ষতিকারক রাসায়নিক যৌগ উৎপাদিত হয়।
বিশ্বের একাধিক পুষ্টিবিদও এই ব্যাখ্যার সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন। এখন প্রশ্ন জাগতেই পারে- তাহলে কি নিরিহ আলু ভাজাও এখন মারণ ব্যাধি ক্যানসারের ভয়ে খাওয়া যাবে না?
এ নিয়ে পুষ্টিবিদদের ভাষ্যমতে, বাড়িতে তৈরি করা আলু ভাজা খাওয়া যেতে পারে। কিন্তু কোনো কিছুই মাত্রাতিরিক্ত খাওয়া ভাল না।
তবে অনেকেই বলেন, বিভিন্ন পটেটো চিপস তৈরির কারখানাগুলোতে প্যাকেটজাত করে দীর্ঘদিন সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে প্রক্রিয়াকরণের যে পদ্ধতি, সেখানেই সমস্যা রয়েছে।