উদ্ধারের নায়ক হ্যারিস কেন মন খারাপ করে বের হয়েছিলেন ?
থাইল্যান্ডের থাম লুং গুহায় এই বিরল উদঘাটন চালানোড় পেছনে অস্ট্রেলিয়ার ডাক্তার রিচার্ড হ্যারিসের প্রতিভা বিশেষ ভুমিকা পালন করেছে। যখন বন্য বোড়ের ফুটবল দলটি গুহার ভিতরে এক সপ্তাহে ধরে আটকে পড়েছিল, তখন অ্যাডিলেড অ্যানেশেস্টিস্ট থাইল্যান্ডে তার ছুটি ত্যাগ করে স্বেচ্ছাসেবক হন।
তিনি ছেলেদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে চলে আসেন এবং সেখানে গিয়ে তিন দিনের জন্য তাদের সঙ্গে থাকলেন। এটি তার নির্দেশের অধীনে ছিল যে, দুর্বলতম ছেলেদের প্রথমে গুহা থেকে বের করে আনতে হবে এবং তিনি সফলভাবে এই জটিল অপারেশন সম্পন্ন করে ফিরে এসেছেন।
হ্যারি নামে পরিচিত ডঃ হ্যারিস, গুহা থেকে শেষ রক্ষাকর্তাদের একজন বলে মনে করা হয়। কিন্তু এই দুঃসাধ্য অভিযান শেষে আনন্দ ফিরে পেতে না পেতেই হ্যারিসের জন্য চলে আসল দুঃসংবাদ। সফলভাবে গুহার অপারেশন সম্পন্ন করার পর খবর আসে, হ্যারিসের পিতা আর নেই।
হ্যারিসের বস অ্যান্ড্রু পিয়ার্স এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার গুহা থেকে ফুটবল দলের কোচকে বের করে আনার কিছুক্ষণ পর তার বাবার মৃত্যু হয়েছে। এটা হ্যারিস পরিবারের জন্য শোকের সময়। অ্যানেসথেটিস্ট ও অভিজ্ঞ গুহা ডুবুরি হ্যারিস খুব শিগগিরই অ্যাডিলেডে তার বাড়ি ফিরবেন।
তবে হ্যারিসের বাবা কীভাবে মারা গেছেন সেটি জানাননি পিয়ার্স। একইসঙ্গে হ্যারিস পরিবারের গোপনীয়তা রক্ষা করতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
তার নিয়োগকর্তা, দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার অ্যাম্বুলেন্স সেবা জানান, তার পরিবার এই শোকবার্তা তার উদ্ধার অভিযানের শারীরিক এবং মানসিক চাহিদা দূর করতে পারে নি। ডঃ হ্যারিসের জন্য এই সপ্তাহ অনেক বেশি তিক্ততার সাথে শেষ হয়েছে। হ্যারি একজন শান্ত এবং সদয় মানুষ, যে মানুষের সাহায্য করার আগে দ্বিতীয়বার ভাবেন না।
‘উদ্ধারের অবিচ্ছেদ্য অংশ’
অস্ট্রেলিয়ার সরকার অনুযায়ী, ডঃ হ্যারিসকে বিশেষভাবে ব্রিটিশ ডুবুরিরা উদ্ধার কাজের জন্য চেয়েছিল এবং উদ্ধারের কাজে অংশ নেওয়ার জন্য থাইল্যান্ডের “সর্বোচ্চ স্তরের” অনুরোধ করা হয় তাকে।