যে ৬ কারণে নিজের কথা ভেবেই বিয়ে করা উচিৎ!
আজকাল বিয়ে করার বিষয়টিকে অনেকেই ভয় পায়। অনেকেই এড়িয়ে যেতে চান বিয়ে করা এবং এর সাথে জড়িত সকল দায়িত্বের পর্বগুলিকে। প্রেম করবো, একসাথে থাকবো কিন্তু বিয়ে করবো না- এই নীতিতেও আজকাল অনেকেই বিশ্বাসী। বিয়ে করাটা আজকালকার তরুণদের অনেকের কাছেই ঝামেলা মনে হলেও আসলে কি তাই? হয়তো না! চলুন, আজ আমরা কথা বলবো বিয়ে করার কিছু চমৎকার দিক নিয়ে। উল্লেখযোগ্য ৬ টি দিক তুলে ধরার চেষ্টা রইলো আজকের ফিচারে।
ক্ষণিকের নয়, স্থায়ী সঙ্গী
বন্ধুত্ব হোক কিংবা প্রেম, জগত-সংসারে সবই সাময়িক। আজকের বন্ধু কিংবা আজকের মনের মানুষটি আগামীকাল পর হয়ে যাওয়া কোন ঘটনাই না। কিন্তু বিয়ের ব্যাপারটি ভিন্ন। বিয়ে হচ্ছে সেই বন্ধন যা চাইলেও ছিন্ন করা যায় না কিংবা ছিন্ন করা অতটা সহজ নয়। একজন স্বামী কিংবা স্ত্রী কেবল সুখের সময়ের সঙ্গী নয়, বরং দুঃখের দিনেরও সমান ভাগীদার। পিতা-মাতার পর জীবনসঙ্গীই আমাদের সবচাইতে কাছের মানুষ। তিনি সেই জন, যার উপস্থিতিতে নিজেকে আর একা মনে হয় না। জীবনের সকল দুঃখ-কষ্ট যার সাথে ভাগ করে নেয়া যায়। এক সময়ে পিতা-মাতা বেঁচে থাকেন না, তখন পাশে রয়ে যায় কেবল এই জীবনসঙ্গীই।
জীবনে নতুন উত্তেজনা
বিয়ে, নতুন সংসার গোছানো, একজন মানুষের সাথে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে তোলা ইত্যাদি সবই জীবনে একটা নতুন মোড় নিয়ে আসে। একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর জীবনে এই পরিবর্তন খুবই জরুরী। দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্কের একঘেয়েমি কাটিয়ে মানবিক সম্পর্কের একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে দেয় বিয়ে।
বৈষয়িক হয়ে ওঠা
বিয়ে একজন মানুষকে অনেক দিক থেকেই বাস্তববাদী করে তোলে। মানুষ ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে শেখে, ফলে উন্নতির চেষ্টা থাকে। একদম ছন্নছাড়া মানুষটিও বিয়ের পড়ে সঞ্চয়ে মনযোগী হয়। অধিক উপার্জনের চেষ্টা থাকায় ভবিষ্যৎ হয় আর্থিকভাবে অনেক বেশি নিরাপদ।
সন্তান সুখ
মানব জীবনে সন্তানের পিতা-মাতা হতে পারা অনেক বড় একটি বিষয়। আর সেই সুখ জীবনে লাভ সম্ভব কেবল বিয়ের মাধ্যমেই। এখনও আমাদের সমাজে বিবাহ বহির্ভূত সন্তান বৈধ সন্তানের মর্যাদা পায় না।
নিরাপদ যৌন সম্পর্ক
যদিও আজকালকার তরুণদের মাঝে বিবাহ বহির্ভুত যৌন সম্পর্ক অনেক বেশি। কিন্তু তারপরেও, নিরাপদ যৌন সম্পর্ক কিন্তু বিয়ের মাধ্যমেই সম্ভব। এতে যৌন সম্পর্ক বাহিত কোন রোগ হবার সম্ভাবনা কমে যায় অনেকটাই। এছাড়াও একজন মানুষের সাথে যৌন সম্পর্কে বিশ্বস্ত থাকার ব্যাপারটি মানুষ হিসেবে আমাদের চারিত্রিক উন্নতি ঘটায়।
ক্যারিয়ারে অনেকটা বাড়তি ফোকাস
মানুষের প্রেম- ভালোবাসা অর্থাৎ আবেগের দিকটি একবার স্থায়ী হয়ে গেলে ক্যারিয়ারে অনেক বেশি মনোযোগ দেয়া সম্ভব হয়। কম বয়সে মনযোগের একটি বড় অংশ প্রেম বা রোমান্টিক সম্পর্কের পেছনে চলে যায়। আর বিয়ের পর সেটা হয় সম্পূর্ণ বিপরীত। ফলে ক্যারিয়ারে উন্নতি করা সহজ হয়।
আমাদের দেশে এখনও অনেক তরুণ-তরুণী পারিবারিক কারণে বিয়ে করেন। কিন্তু, বিয়ে মূলত নিজের কথা ভেবেই করা উচিত। কেননা সংসার আপনার পরিবার করবে না, করবেন আপনি!