কেন গুহায় ঢুকেছিলো থাই কিশোররা
থাইল্যান্ডের থাম লুয়াং গুহায় দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে আটকা ১২ কিশোর ফুটবলার ও তাদের কোচকে উদ্ধারে চূড়ান্ত অভিযান শুরুর পর চার কিশোরকে উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার ১৩ বিদেশী ডুবুরি ও থাইল্যান্ডের নৌবাহিনীর অভিজাত শাখা থাই নেভি সিলের পাঁচ সদস্য এ উদ্ধার অভিযান শুরু করেন।
কিশোর ফুটবল দলটি ঠিক কি কারণে গুহায় ঢুকেছিলো তা নিয়ে সমগ্র পৃথিবী জুড়েই রয়েছে কৌতূহল। সংবাদমাধ্যমগুলো এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজছিলো প্রথম থেকেই। অবশেষে ব্যাংককের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে সূত্রে জানা গেলো এর উত্তর।
গত ২৩ জুন ফুটবল প্র্যাকটিস শেষ করে দলের একজন সদস্যের জন্যে জন্মদিনের সারপ্রাইজ পার্টির আয়োজন করতে পুরো দলটি গুহায় প্রবেশ করেছিল বলে জানান গ্যেইম নামের আরেক সদস্য, যিনি সেদিন দলের সাথে গুহায় প্রবেশ করেননি।
গ্যেইম জানান, এর আগেও তারা আরো তিনবার গুহায় ঢুকেছিলেন। তবে বৃষ্টির মওসুমে কখনো তারা গুহায় ঢোকেননি।
গ্যেইম বলেন, ‘আমরা এর আগে প্রত্যেকবারই প্রস্তুতি নিয়ে ভিতরে গিয়েছি। আমাদের সাথে সবসময় টর্চলাইট ছিল। ঢোকার আগে আমরা নিশ্চিত ছিলাম যে সবাই শারীরিকভাবে ফিট আছে। খাওয়া দাওয়া করে তারপর আমরা ভেতরে ঢুকেছি।’
গ্যেইম সেদিন সুস্থ বোধ না করায় গুহায় প্রবেশ করেননি। তিনি বলেন, ‘প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবেই পূর্বে আমরা গুহার ভেতরে যাই। আমাদের টিমের একজন সদস্যের জন্মদিন ছিল সামনে। আমার মনে হয় তারা ভেতরে একটি পার্টি করতে যাচ্ছিল।’
স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে ফুটবল দলটির গুহায় আটকা পড়ার কারণটি নির্ণয় করেছে থাইল্যান্ডের বেশকিছু সংবাদ মাধ্যম। সংবাদমাধ্যম গুলোর মতে, ফুটবল দলটি গুহার ভেতরে ঢোকার পর থেকেই প্রচুর বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টির পানির সাথে জঙ্গলের জমে থাকা পানিও গুহার ঢুকতে থাকে। পানি অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় এক পর্যায়ে বন্ধ হয়ে যায় গুহার প্রবেশপথ।
গুহার ভেতরে পানির উচ্চতা দ্রুত বাড়তে থাকলে দলটি ভেতরে আটকা পড়ে যায়। বাঁচার জন্য নিরাপদ স্থান খুঁজতে খুঁজতে তারা গুহার আরো গভীরে চলে যায়।
উল্লেখ্য যে থাম লুয়াং ১০,৩১৬ মিটার লম্বা এবং থাইল্যান্ডের চতুর্থ সর্বোচ্চ দীর্ঘ গুহা । বিবিসি