দেশের বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৩৩ লাখ ৯৫ হাজার ৬৪৯টি
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, দেশের আদালতসমূহে চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৩৩ লাখ ৯৫ হাজার ৬৪৯টি। এর মধ্যে দেওয়ানি মামলার সংখ্যা ১৩ লাখ ৯০ হাজার ২০৯টি ও ফৌজদারি মামলার সংখ্যা ১৯ লাখ ১৮ হাজার ৫২৭টি এবং অন্যান্য (কনটেম্পট পিটিশন/ রীট/ আদিমসহ) মামলার সংখ্যা ৮৬ হাজার ৯১৩টি।
সোমবার জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সদস্য বেগম সানজিদা খানমের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের মোট বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৫ লাখ ৩ হাজার ৫১২টি। এর মধ্যে আপিল বিভাগে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ১৮ হাজার ২৪৬টি এবং হাইকোর্ট বিভাগে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৪ লাখ ৮৫ হাজার ২৬৬টি। তিনি বলেন, অধস্তন আদালতে মোট বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ২৮ লাখ ৯২ হাজার ১৩৭টি।
আইনমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ৩ জন ও হাইকোর্ট বিভাগে ২৮ জন বিচারপতি নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এছাড়া, অধস্তন আদালতে মোট ৪২৭ জন সহকারী জজ নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন সংক্রান্ত মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য আরো ৪১টি ট্রাইব্যুনাল ও ২টি সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল সৃজন করেছে এবং ওই ট্রাইব্যুনালসমূহের জন্য ২০৫টি সহায়ক পদও সৃজন করা হয়েছে। নবসৃজিত এ পদগুলোতে বিচারক নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে জেলা জজ আদালতের এজলাস সংকট নিরসনের জন্য ‘২৮টি জেলায় আনুষঙ্গিক সুবিধাদিসহ জেলা জজ আদালত ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ’ শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে ২৭টি জেলায় আলোচ্য প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বিদ্যমান জেলা জজ আদালত ভবনসমূহ ৩ থেকে ৪ তলা পর্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, নিম্ন আদালতের বিচারকদের দক্ষতা বৃদ্ধির সঙ্গে মামলা নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রিতা কমিয়ে আনতে সরকার তাদের দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণের কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। মন্ত্রী বলেন, যুগোপযোগী পদক্ষেপসমূহ গ্রহণ করার মাধ্যমে বর্তমান সরকার বিচারপ্রার্থী জনগণের ভোগান্তি লাঘবের জন্য একটি আধুনিক বিচার বিভাগ ও বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।