রোনালদোদের সামনে দিশেহারা স্পেন
স্পোর্টস ডেস্ক : তিন দিন আগে হলেও এই ম্যাচে স্পেনের পক্ষে বাজির দর থাকত বেশি। কিন্তু মাত্র এক দিনের মধ্যে সব ছক বদলে গেছে। বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো বিদায় নিতে হয়েছে স্পেন কোচ হোলেন লোপেতেগিকে। রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে চুক্তি করার জন্য বিশ্বকাপের মাত্র এক দিন আগে বরখাস্ত হয়েছেন স্পেন কোচ। দায়িত্ব নিয়েছেন ফার্নান্দো হিয়েরো, কিন্তু এক দিনের মধ্যে কতটা কী করতে পারবেন? আজ (বৃহস্পতিবার) পর্তুগালের সঙ্গে ম্যাচে তাই স্পেনের অনেক কিছুই প্রমাণ করার আছে।
সার্জিও রামোস অবশ্য কাল সংবাদ সম্মেলনে এসে বললেন, লোপেতেগির বিদায় দলের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না। তারা সবাই ঐকবদ্ধ, কী করতে হবে সেটাও তারা জানেন খুব ভালো করেই। রামোস দাবি করলেন, হিয়েরোকে তাঁরা সবাই অনেক দিন থেকেই চেনেন। সুতরাং দলের সংহতিতে কোনো সমস্যা হবে না। হিয়েরোর অবশ্য কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা নেই বললেই চলে। তবে সাবেক এই স্প্যানিশ ও রিয়াল মাদ্রিদ ডিফেন্ডার জোর দিয়েই বলেছেন, এই ধাক্কা সামলানোর ক্ষমতা তাদের আছে।
কাগজে কলমে অবশ্য সেটা নিয়ে কেউ দ্বিমত করবেন না। রামোস, পিকের রক্ষণভাগ কাগজে কলমে বিশ্বের অন্যতম সেরা। মধ্যমাঠে ইসকো, ডেভিড সিলভা, ইনিয়েস্তারা আছে। গোলপোস্টের নিচে এই মুহূর্তে সম্ভবত বিশ্বের সেরা গোলরক্ষক ডেভিড ডি গিয়া। শুধু গোল করার জায়গায়তেই একটু সমস্যা, এখানে তাদের ভরসা করতে হবে ডিয়েগো কস্তার ওপর।
পর্তুগালও এই দিকে অনেকটুকুই নির্ভর করবে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর ওপর। দেশের হয়ে এর মধ্যেই ইউরো জিতেছেন রোনালদো, তবে এই বিশ্বকাপটা হতে পারে দেশের হয়ে বড় কিছু অর্জনের শেষ সুযোগ। ইউরোর সেই পর্তুগালের খোলনলচে এখন অনেকটাই বদলে গেছে, এই দলের ১০ জনই নেই এবার। তবে আন্দ্রে সিলভা, বার্নার্দো সিলভারা এবার আরও পরিণত, রোনালদোর সঙ্গে আক্রমণে সঙ্গত দেবেন তাঁরা।
বড় আসরে দুই দলের দেখা হয়েছিল ২০১২ সালের ইউরোতে। সেবার নির্ধারিত সময় অমীমাংসিত থাকার পর টাইব্রেকারে পর্তুগালকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল স্পেন। সব মিলে দুই দলের ৩৬ বারের দেখায় ১৮ বার জিতেছে স্পেন। ১২ বার ড্র হয়েছে, পর্তুগাল জিতেছে ছয়বার।