মঙ্গলবার, ১৯শে জুন, ২০১৮ ইং ৫ই আষাঢ়, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

‘আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রতিনিধিত্ব করার মতো তারকা হতে চাই’

ইমরুল শাহেদ : কোনো আত্মগ্লাঘা বা দাম্ভিকতা নয়, যোগ্যতা নিয়ে অতি-আত্মবিশ্বাসীও নয়। আস্থার স্থান থেকে এই আত্মপ্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন চলচ্চিত্র জগতের কনিষ্ঠতম সংযোজন ইসরাত তন্বি। গ্ল্যামার জগতে প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি বিরামহীন, কান্তিহীন এক যোদ্ধা। অকপটে বললেন, সে লক্ষ্য সামনে রেখেই তিনি চলচ্চিত্রের বঙ্কিম অঙ্গনে নিজেকে একজন সার্থক তারকা হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন। নিজেকে এমনভাবে গড়ে তুলতে চান তিনি যাতে বিশ্ব দরবারে এদেশের সাংস্কৃতিক দূত হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন।

আগেই বলা হয়েছে যে তিনি অত্যন্ত আত্মপ্রত্যয়ী এবং নিজের উপর বিশ্বাসী। প্রকৃতপক্ষেই বিশ্বাস জীবনকে গতিময়তা দান করে, আর বিশ্বাসহীনতা জীবনকে করে তোলে দুর্বিষহ। এখন প্রশ্ন আসতে পারে, এজন্য তার প্রক্রিয়া কি? কুমিল্লার মেয়ে ইসরাত বলেন, ‘এটাতো আমার নিজস্ব কৌশল। ফাঁস করাটা ঠিক হবে না। চিত্রজগত আমার স্বপ্ন। যতদিন বেঁচে থাকব, এখানেই থাকব। পারফর্ম করার সুযোগ আছে এমন চরিত্রকে প্রাধান্য দিয়ে আমি কাজ করতে চাই।’ তবে তিনি অনেকটা রসিকতা করেই বলেন, ‘আমার প্রথম ছবি শেষ নায়ক ২০১০ সালে শুরু হলেও অদ্যাবধি মুক্তি পায়নি।’ এরপরের ছবি রাজনীতি। এ ছবিটি নির্মাণ করেছেন বুলবুল নামে একজন পরিচালক। কি চরিত্রে অভিনয় করলেন ছবিটিতে? তিনি বলেন, ‘কোনো চরিত্রই নয়। একদিন এফডিসিতে তার শুটিংয়ের সময় বেড়াতে গিয়েছিলাম। তখন একটি চরিত্রের কথা বলে করে দিতে বললেন। বন্ধু মানুষ, না করতে পারিনি।’ এরপরই তিনি শুরু করেন হিরো খান পরিচালিত স্বপ্ন ছবিটি।

আত্মপ্রতিশ্রুত এই অভিনেত্রীর পারফর্মিং আর্টে ক্যারিয়ার শুরু হয়েছে সেই ছোটবেলা থেকে। বিটিভির নতুন কুঁড়িতে নেচেছেন তিনি। বেইলি ড্যান্সে পারদর্শী। প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন ভারতের বাঙ্গালোর থেকে। তাকে ফার্স্ট লেডী বাইকারও বলা হয়। অভিনয়ে হাতেখড়ি অধুনা থিয়েটার থেকে। এখান থেকে ময়মনসিংহ গীতিকার মলুয়া সুন্দরী নাটকটি সাত বার মঞ্চস্থ হয়েছে। মলুয়ার চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। ‘অসরিক’ নামে তার একটি ব্যান্ড দলও ছিল। তাতে তিনি গায়িকা ছিলেন। এছাড়া তিনি ১০ থেকে ১২টি টিভিসিতে কাজ করেছেন। তার টিভি নাটকও রয়েছে বেশ কয়েকটি। তার প্রথম টিভি নাটক হলো আউট অব কন্ট্রোল। এবার ঈদে তার অভিনীত দুটি নাটক প্রচারিত হবে। এর মধ্যে রয়েছে পাঁচ শালী মাশাল্লা এবং জেনিফার তুমি রক্ত গোলাপ।

পারফর্মিং আর্টের নানা শাখায় বিচরণ করা এই অভিনেত্রী চলচ্চিত্রকে চূড়ান্ত হিসেবে বেছে নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘চলচ্চিত্র আমার প্যাশন। এই মাধ্যম থেকেই আমি তারকা হিসেবে গড়ে উঠতে চাই।’

তিনি বলেন, ‘প্রেমের বিষয়টা আসলে ব্যক্তিগত। তারপরও বলি আমাকে অনেকেই পছন্দ করেছে। আমার কাউকে পছন্দ হয়নি। আগে আমার স্বপ্নপূরণ করব, তারপর অন্য কিছু।’ তবে তিনি বিস্তারিত কিছু না বলে বললেন যে পারিবারিকভাবে তার বিয়ে ঠিক হয়ে আছে। যার সঙ্গে বিয়ে হবে তিনিও খ্যাতিমান একজন মানুষ।

কথা প্রসঙ্গে ইসরাত বলেন, ‘গ্ল্যামার জগতে অনেক সমস্যা মোকাবিলা করতে হয়। সে সমস্যা স্মার্টলি হ্যানডল করতে পারাটাই স্মার্টনেস।’

ইসরাত তন্বির পিতা মোহাম্মদ মহসিনুল হক একজন ব্যবসায়ী। তিনি শান্তা মারিয়মে ইন্টেরিয়র ডোকেরেশন নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। কিন্তু ডেকোরেশনের টুকটাক কাজ করলেও এটাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেননি। অভিনয় জগতই তাকে বেশি আকর্ষণ করে।

Print Friendly, PDF & Email