বিদেশিদের সঙ্গে ‘শারীরিক’ সম্পর্ক নয়, সতর্ক বার্তা রাশিয়ার
অনলাইন ডেস্ক : রাশিয়ায় শুরু হয়েছে বিশ্বকাপ। দেশটিতে এখন বিদেশি পর্যটকে পূর্ণ। তাই দেশটির যুবতীদের ‘সতর্ক’ করে দিয়েছেন তামারা প্লেৎনোভা নামের পুতিন সরকারের শীর্ষস্থানীয় এক নেত্রী। তিনি বলেন, ভিন্ন বর্ণের বিদেশি পুরুষদের সঙ্গে যেন শারীরিক সম্পর্কে না জড়ান রাশিয়ার যুবতীরা। তার এমন মন্তব্যকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সংবাদমাধ্যমে মিরোরের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বুধবার ওই মন্তব্য করেন তামারা। রাশিয়ার সংসদের পরিবার বিষয়ক কমিটির শীর্ষ সদস্য স্পষ্ট করে জানান, বিদেশি, বিশেষত কৃষ্ণাঙ্গদের সঙ্গে মিলিত হলে সেই সন্তান হবে ভিন্ন বর্ণের। ফলে জন্মের পর থেকেই বৈষম্যের স্বীকার হতে হবে তাদের। পাশাপাশি তিনি জানিয়ে দেন, বহু ক্ষেত্রেই গর্ভবতী হওয়ার পরে সঙ্গী পুরুষটি আর দায়িত্ব নেন না তার সন্তানের। সেক্ষেত্রে সিঙ্গল মাদার হয়ে লড়াই করতে হয় ওই মায়েদের।
আরও : বিশ্ব বাবা দিবস আজ
এমন মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে। যেখানে ফিফা বর্ণবৈষম্য বিরোধী প্রচার চালাচ্ছে, সেখানে আয়োজক দেশের একজন উচ্চপদস্থ রাজনীতিক হয়ে এমন কথা কী করে বলতে পারেন তামারা? তাকে সংসদ থেকে বহিষ্কার করার কথাও বলেছেন অনেকেই। আবার অনেকে তামারার বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন।
এর আগে ১৯৮০ সালে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের আসর বসেছিল রাশিয়ায়। সেবার অলিম্পিকের সময়ে অনেক রুশ নারী বিদেশিদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন। এর ফলে কয়েক হাজার শিশুর জন্ম হয়। এই শিশুগুলো ছিল ভিন্ন জাতি ও বর্ণের মিশ্রণ। এই শিশুদের বলা হয় ‘চিলড্রেনস অব অলিম্পিক্স’।
এদিন সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে সেই ‘চিলড্রেনস অফ অলিম্পিক্স’ নিয়েই প্রশ্ন করা হয় তামারাকে। তখনই তিনি বিশ্বকাপ চলাকালীন ভিন্ন বর্ণ ও জাতির পুরুষদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়াতে বারণ করেন রুশ তরুণীদের।