রবিবার, ১৭ই জুন, ২০১৮ ইং ৩রা আষাঢ়, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

৫ উপায় নাক ডাকা বন্ধের

নিউজ ডেস্ক।। ঘুমের মধ্যে অনেকেই নাক ডাকেন। তবে এটাকে তেমন গুরুত্ব দেন না অনেকেই। কিন্তু অনেকেরই অজানা ঘুমের মধ্যে নাক ডাকা স্বাস্থের জন্যেও বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। মধ্যবয়সীদের মধ্যে ৪০ শতাংশ পুরুষ ও ২০ শতাংশ মহিলা ঘুমের মধ্যে নাক ডাকেন।

অনেকেই হয়তো জানেন না শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা, শরীরের মাত্রাতিরিক্ত ওজন ও অন্য বেশ কিছু কারণে মানুষের নাক ডাকার সমস্যা হতে পারে। সাম্প্রতিক বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, গড়ে প্রতি দুজন ব্যক্তির মধ্যে একজন নাক ডাকেন। চলুন তাহলে দেখা যাক, মানুষ কেন নাক ডাকে আর এর সমাধান কি…

নাক ডাকার সমস্যা কেন হয়?
১. ঘুমের মধ্যে শ্বাস-প্রশ্বাসের গতিপথ কোনোভাবে বাধাপ্রাপ্ত হলে শ্বাসনালীতে প্রবেশ করা বাতাস শ্বাসযন্ত্রে কাঁপুনির সৃষ্টি করে। ফলে নাক ডাকার শব্দ হয়।
২. চিত হয়ে ঘুমালে জিব পেছনে চলে গিয়ে অনেক সময় শ্বাসনালি বন্ধ করে দেয়। ফলে নাক ডাকার শব্দ হয়।
৩. শরীরের ওজন মাত্রাতিরিক্ত ভাবে বেড়ে গেলে গলা, পেট ও বুকের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়। ফলে নাক ডাকার সমস্যা শুরু হয়।
৪. থাইরয়েডের সমস্যা কিংবা গ্রোথ হরমোনের আধিক্যজনিত সমস্যা নাক ডাকার সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে।

৫. অতিরিক্ত ধূমপান, মদ্যপান এবং ঘুমের ওষুধ খেলে নাক ডাকার সমস্যা বাড়তে পারে।
নাক ডাকার সমস্যা কমাবেন কী করে?
১. মাখন গরম করে গলিয়ে নিয়ে নাকের দুই ছিদ্রে এক ফোঁটা করে দিয়ে দিন।
২. প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে আর রাতে শুতে যাওয়ার সময় প্রতিদিন রাতে ঘুমোতে যাওয়ার সময় এক গ্লাস উষ্ণ পানিতে আধা চামচ এলাচের গুঁড়ো মিশিয়ে খেয়ে নিন।
৩. রাত ৮টার পর ভারি খাবার খাওয়াকে না বলুন। কারণ সন্ধ্যার পর পাচনযন্ত্রের গতি মন্থর হয়ে যায়। এই সময় অতিরিক্ত খাবার খেলে পাচনযন্ত্রকে অতিরিক্ত শক্তির প্রয়োজন হয়। তখন হজমে সমস্যা হতে পারে। ফলে শ্বাস নিতে সমস্যা হয়।

৪. খাওয়ার ঠিক পরেই শুয়ে পড়বেন না। একটু সময় নিন, সম্ভব হলে একটু হাঁটাচলা করে তবেই ঘুমোতে যান। এতে হজমের সমস্যা দূর হবে। ফলে শ্বাসকষ্টের ঝুঁকিও কমবে।
৫. চিত হয়ে শোয়ার পরিবর্তে একপাশে ঘুরে শোয়ার অভ্যাস করুন। এতে নাক ডাকা অনেকটাই কমে যাবে।
তবে নাক ডাকার শব্দ অস্বাভাবিক হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

Print Friendly, PDF & Email