রবিবার, ১৭ই জুন, ২০১৮ ইং ৩রা আষাঢ়, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

নাজাত লাভে তওবার বিকল্প নেই : মুফতি তাওহীদুল আলম

মাহে রমজানের দশ দশকে বেশি বেশি তওবা-ইস্তেগফারের মাধ্যমে নাজাত বা মুক্তিলাভ করা যায়। ঈমানদার পাপী বান্দাদের এসময়ে আল্লাহ পাক অধিক হারে ক্ষমা করে থাকেন। হুজুর (সা.) এসময়ে ইতিকাফে বসতেন এবং লাইলাতুল কদরের অন্বেষণে রাতগুলো ইবাদতের মাধ্যমে জাগিয়ে রাখতেন। তাই নাজাত লাভ করতে তওবার কোন বিকল্প নেই। দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের সাথে আলাপকালে কথাগুলো বলছিলেন রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া ইসলামিয়া বায়তুল ফালাহ-র মুহাদ্দিস মুফতি তাওহীদুল আলম।

মুফতি তাওহীদুল আলম বলেন, আমাদের প্রিয়নবি (সা.)-এর অবস্থা এমন হয়ে যেত যে, আধ্যাত্মিক বসন্ত পবিত্র মাহে রমজান যখন বিদায় নেওয়ার ক্ষণে পৌঁছে যেতো, তখন তিনি (সা.) কোমর বেঁধে নিতেন আর রমজানের কল্যাণরাজিতে নিজ ডালি ভরে নিতে কোনো ত্রুটি করতেন না। হজরত আয়েশা (রা.) বর্ণিত একটি হাদিস থেকে আমরা জানতে পারি, রমজানের শেষ দশক আসলে তিনি (সা.) খুবই তৎপর হতেন এবং শেষ রাতগুলো ইবাদতের মাধ্যমে জীবিত করতেন। সঙ্গে সঙ্গে তার (সা.) পরিবার-পরিজনকেও জাগিয়ে তুলতেন। (বোখারি, কিতাবুস সওম)।

তিনি আরো বলেন, এ মাস বরকত, রহমত বা অনুগ্রহ ও ক্ষমার মাস। এ মাস মহান আল্লাহর কাছে শ্রেষ্ঠ মাস। নিঃসন্দেহে সেই ব্যক্তি প্রকৃতই দুর্ভাগা বা ভাগ্যাহত যে রমজান মাস পেয়েও মহান আল্লাহর মার্জনা হতে বঞ্চিত হয়। এ মাসে ক্ষুধা ও তৃষ্ণার মাধ্যমে কিয়ামত বা শেষ বিচার দিবসের ক্ষুধা ও তৃষ্ণার কথা স্মরণ করতে হবে। অভাবগ্রস্ত ও দরিদ্রদেরকে সাহায্য ও সদকা করতে হবে। বয়স্ক ও বৃদ্ধদেরকে সম্মান এবং শিশু ও ছোটদেরকে আদর করতে হবে। (রক্তের সম্পর্কের) আত্মীয় স্বজনের সাথে সম্পর্ক ও যোগাযোগ রক্ষা করতে হবে। যেসব কথা শোনা ঠিক নয় সেসব শোনা থেকে কানকে নিবৃত রাখতে হবে। এতিমদেরকে দয়া করতে হবে যেন আপনার সন্তানরা যদি এতিম হয় তাহলে তারাও যেন দয়া পায়। গুনাহর জন্যে অনুতপ্ত হওয়া ও তওবা করা এবং নামাজের সময় মোনাজাতের জন্যে হাত উপরে তোলা। কারণ নামাজের সময় দোয়া কবুলের শ্রেষ্ঠ সময়। এ সময় মহান আল্লাহ তার বান্দাদের দিকে রহমতের দৃষ্টিতে তাকান, এ সময় কেউ তার কাছে কিছু চাইলে তিনি তা দান করেন, কেউ তাকে ডাকলে তিনি জবাব দেন, কেউ কাকুতি-মিনতি করলে তার কাকুতি মিনতি তিনি গ্রহণ করেন। সম্পাদনা : লুৎফুর রহমান

Print Friendly, PDF & Email