শনিবার, ২রা জুন, ২০১৮ ইং ১৯শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

কোল্লা-পাথর শহীদ সমাধিস্থলে ঘুমিয়ে আছে একত্রে ৫১জন বীরমুক্তিযোদ্ধা

ফয়সল আহমেদ খান,বাঞ্ছারামপুর : আমাদের জাতীয় জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন ১৯৭১ সালের ঐতিহাসিক ডিসেম্বর মাসটি । ১৯৭১ সালের ১ থেকে ৫ ডিেিসম্বর এই ৩দিনের সম্মুখ সমরে মুক্তিবাহিনী শালদা নদী ও তার আশপাশের এলাকায় পাকিস্থানি সেনাদের সাথে মুক্তিবাহিনীর পাল্টা আক্রমনে গুলিতে এক এক করে ৫১ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।তার মধ্যে কেবল ১ জনের নাম পাওয়া যায়নি।

দীর্ঘ ৯ মাসের যুদ্ধে প্রাণ দিয়েছে কতজন বা অংশ নিয়েছে কতজন ,তার পুরোপুরি সঠিক হিসেব না জানা থাকলেও এই যুদ্ধে অংশ নিয়েছে ধর্মবর্ণ ভেদাভেদ ভুলে অনেক নারী -পুরুষ।ধর্মের বেড়াজালে নয়, ধর্মের গোঁড়ামি নয়, দেশকে স্বাধীন করার জন্য যারা নেমেছেন তাদের অনেকেই যুদ্ধ করে বেচেঁ আছেন। আবার অনেকেই যুদ্ধে শহীদ হয়ে বাংলার মাটির আনাচে কানাচে ঘুমিয়ে আছেন । ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার ১০ নং বায়েক ইউনিয়নের শালদা নদীতে পাকবাহিনীর সাথে যোদ্ধ করে শহীদ হয়েছেন ৫১ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ঘুমিয়ে আছে কোল্লাপাথর শহীদ সমাধিস্থলে।

পাশের গ্রামের গঙ্গাসাগরের পাশে রয়েছে বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের কবর। প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসের ১ থেকে ৭ ডিসেম্বর তাদেরকে স্বরণ করা হয় । দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে শত-শত শহীদদের পরিবার পরিজন এই কোল্লাপাথর সমাধিস্থলে এসে ফুল দিয়ে তাদেরকে শ্রদ্ধা জানিয়ে যান । যার যার ধর্ম রীতি অনুযায়ী তারা শহীদদের জন্য দোয়া করেন।

অন্যদিকে,বিদেশী পর্যটকদের জন্য বর্তমান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সরকার তৈরী করেছে আগতদের জন্য রয়েছে জেলা পরিষদ কর্তৃক নির্মিত প্রথমশ্রেনীর রেষ্টহাউজ । ডিসেম্বর এলেই প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে দর্শনার্থীরা আসেন বেড়াতে । পাহাড়ের সবুজ বৃক্ষে ঘেড়া এই সমাধিস্থলটি । যার নাম কোল্লা পাথর শহীদ সমাধি স্থল।বাংলাদেশে এক স্থানে মাত্র ৩দিনের ব্যবধানে আর কোথাও এতো (৫১জন)শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের কবরস্থ করা হয়নি।

 

Print Friendly, PDF & Email