শনিবার, ২রা জুন, ২০১৮ ইং ১৯শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সীমান্তে অবহেলায় মুক্তিযোদ্ধা গণকবর

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সীমান্ত ঘেরা এক গ্রামের কাছে অবহেলা আর অযত্নে পড়ে আছে ২৫০ জন মুক্তিযোদ্ধার কবর। নো-মেন্স লেন্ডে হওয়ায় সরকাবিভাবে ঐ গণকবরের স্থানটি সংরক্ষনের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। গণ কবরটি এখন নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে। এলাকাবাসীর দাবি প্রতিবেশি দেশের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে সংরক্ষণ করা হোক মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবরটি।

স্বাধীনতার ৪৭ বছরে ধীরে ধীরে হারিয়েছে চিহ্ন। সে খানেই শুয়ে আছেন মহান মুক্তিযোদ্ধে সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নেওয়া ২৫০ জন বীর বাঙালী। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার সেনারবধী গ্রামের কাছে ২ হাজার ২১ সীমানা পিলার থেকে মাত্র দেড়’শ গজ দূরে একটি পুকুর পাড়ে এই গণ কবরটি।

স্থানীয়রা বলছেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় যেসব যোদ্ধারা শহীদ হয়েছেন, তাদের মধ্যে কিছু এই এলাকায় কবর দেওয়া হয়েছে আর বাকি প্রায় ১ হাজার ভারতের ভেতরে পড়েছে। সরকারি কোনো উদ্যোগ না থাকায় হারিয়ে যেতে বসেছে এই স্মৃতি চিহ্নগুলো।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মুক্তিযোদ্ধ কমান্তার হারুন অর রশিদ বলেছেন, নতুন প্রজন্মের কাছে ইতিহাস তুলে ধরতে প্রতিবেশি দেশের সাথে আলোচনা করে কবরগুলো সংরক্ষন করা খুবই প্রয়োজন। নয়তো কালের বিবর্তনে ইতিহাসের সাক্ষী হারিয়ে যাবে।

নো-মেন্স লেন্ডে অবস্থান হওয়ায় কবরগুলো সংরক্ষনে আইনগত সীমাবদ্ধতা রয়েছে বলে জানিয়েছেন আখাউড়ার ইউএনও। তবে এই ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

আখাউড়ার ইউএনও মোহাম্মদ শামছুজ্জামান বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবরটি সংরক্ষানে সমস্ত তথ্য সংরক্ষন করা হচ্ছে। সকল তথ্যগুলো সংরক্ষন শেষ হলে আইন-কানুনের বিধিবিধারেন মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধের যে স্মৃতি সে বিষয়ে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভৌগলিক অবস্থার কারনে মুক্তিযোদ্ধে বিশেষ ভূমিকা রাখে আখাউড়া। এই সীমান্তে ৫ হাজারের বেশি মুক্তিযোদ্ধা ট্রেনিং শেষে সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নেন।
সূত্র : নিউজ টোয়েন্টিফোর

Print Friendly, PDF & Email