রোহিঙ্গা গণহত্যার স্পষ্ট প্রমাণ চায় মিয়ানমার!
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর নৃশংস অভিযানে গণহত্যা, গণধর্ষণ ও জ্বালাও-পোড়াওয়ের অভিযোগের স্পষ্ট প্রমাণ দেখতে চায় মিয়ানমার।
বৃহস্পতিবার জেনেভায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মিয়ানমারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা থাউং টুন এ কথা বলেন।
এসময় এই উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘জাতিগত নিধন বা গণহত্যার অভিযোগটি গুরুতর এবং এটি হালকাভাবে নেয়ার বিষয় না। আমরা প্রায়ই অভিযোগ শুনি যে মিয়ানমারে জাতিগত নিধন বা গণহত্যা হয়েছে। আমি আগেও বলছি এবং আবারও বলতে চাই এটি আমাদের সরকারের নীতি নয়। তারপরও যদি অভিযোগ থাকে তাহলে সে বিষয়ে স্পষ্ট প্রমাণ দিতে হবে।’
উপদেষ্টা থাউং টুন বলেন, রাখাইনে দীর্ঘদিন ধরে বসবসারত মুসলমানরা এখনও সেখানেই বসবাস করছেন। যদি সেখানে গণহত্যা চালানো হতো তাহলে ওখানে আর কেউ বসবাস করতো না।’
মিয়ানমারের এই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা দাবি করেন, ‘আরাকান রোহিঙ্গা সালভাশন আর্মির (এআরএসএ) ভয়ে রাখাইনের মুসলমানরা দেশত্যাগ করেছেন। তাদের নিরাপদে ফিরিয়ে নেয়ার ইচ্ছা আছে মিয়ানমারের। রাখাইনের গ্রামে গ্রামে এসব অভিযোগ খতিয়ে দেখছে সেনাবাহিনী।
গত ৭ মার্চ জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার জায়েদ রা’দ আল হুসেইন অভিযোগ করে বলেছিলেন, ‘রাখাইনে স্পষ্ট এবং শক্তিশালী প্রমাণ রয়েছে রোহিঙ্গাদের ওপর জাতিগত নিধন ও গণহত্যার।’