বাঞ্ছারামপুরে ফের অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে
---
ফয়সল আহমেদ খান ,বাঞ্ছারামপুর থেকে : ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে ফসলি জমি থেকে একটি চক্্র প্রতি বছরের ন্যয় এবোরো স্থানীয় এমপি ও একটি কলেজের নামে নাম ভাঙ্গিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে যেয়ে দেখা ও জানা গেছে,-বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙ্গিয়ে বালু খেকো করীম,রহিম চেয়ারম্যানের ছেলে দিদার,শরীফ,বাবুল মোল্লা,হারেছ মেম্বার মিলেমিশে উপজেলার বাহেরচরে ক্যা.এবি তাজুল ইসলাম কলেজ-এ বালু ভর্তি করার নাম ভাঙ্গিয়ে তারা বানিজ্যিকভাবে বিভিন্ন এলাকায় নৌ পথে বালুর বোট (অধিক পরিমান বালু রাখার বিশেষ আকৃতির নৌকা) দিয়ে মেঘনা নদীর বালু উত্তোলন শেষে বিক্রি বরছেন।
জানা গেছে,প্রতিদিন এভাবে এক লাখ টাকা বানিজ্য হচ্ছে বালু বিক্রি করে।
এ বিষয়ে করীম যুবলীগ নেতা বালু দস্যূ হিসেবে এলাকাবাসীর কাছে পরিচিতি আ.করীম,তার ভাই মানিকপুর ইউপি চেয়ারম্যান আ.রহিম এবং তার সুযোগ্য সন্তান দিদারুল আলম দিদার থেকে ৫টি বোট কওে বালি অবিরাম ভর্তি করছেন।যেখান থেকে বালি উত্তোলিত হচ্ছিলো সেখানে বর্তমানে পানি থাকলেও শুস্ক মৌসুমে সেখানে থাকে কৃষি জমি।যার মালিক আছে।
এমনই এক হতদরিদ্র জমির মালিক বোরহান মিয়া (৫০) বলেন-‘বর্ষার পানিতে আমার পৈত্রিক শেষ সম্বল ৩০ শতক ধানী জমি ছিলো।সেখানে এখন রহিম-করিম গং সুযোগ পেয়ে বালু তুলভে।আমার জমি যথন ২মাস পর শুষ্ক মৌসুম আসবে দেখা যাবে সেখানে কেবল গর্ত আর গর্ত।’’
করীম -দিদাস গং ছাড়াও -বাহেরচর গ্রামের মেঘনার বুকে জেগে উঠা আলগার চর থেকে গত ৩দিন ধরে বালু উত্তোলনের ফলে বহু জমি মেঘনার বুকে বিলীন হয়ে গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আড়াইহাজার উপজেলার কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল সাত্তারের নেতৃত্বে ও বাহেরচর গ্রামের বাতিন মেম্বার(বাতেন) এবং আব্দুল করিম গং সহ একটি প্রভাবশালী মহল অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে।
এতে করে বাহেরচর গ্রামের ফসলি জমি মারাতœক হুমকির মুখে পড়েছে। ইতিমধ্যে ২০০ বিঘা জমি ভেঙে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। বাহেরচর গ্রামের লোকজন দীর্ঘদিন যাবত প্রতিবাদ করে আসছে।
এ বিষয়ে কালাপাহাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, বাহেরচর এলাকা থেকে বালু উত্তোলনের জন্য সেখানে আমার ছয়টি ড্রেজার রয়েছে।সেগুলো রহিম-করীম-দিদাররা ব্যবহার করছে।এতে আমার আপত্তি নাই।’
বাঞ্ছারামপুর বাহেরচর,কড়িতোলার রাসেল,ইলিয়াস, মামুন মিয়া জানান, বাঞ্ছারামপুর সীমান্তের বাহেরচর এলাকার নদী ও ফসলী জমি থেকে বালু তুলছে করীমের লোকজন।তার লোকজন জোরপূর্বক বালু উত্তোলন করে ফসলি জমির ক্ষতি করছে।আর সে ক্ষতি কৃষকের জন্য অপূরনীয়।
এদিকে,এক জোট হয়ে বালু উতোলন করায়, বালু উতোলন বিরোধী কৃষকদের বিভিন্ন গ্রুপের পক্ষে রয়েছে স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম।তিনি বলেন,-‘রহিম-করীমের বালু উত্তোলনের কারনে ৩৩ হাজার কেভির যে মূল বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইন নারায়নগঞ্জের সিদ্বিরগঞ্জ গেছে,তার ‘পটহেড’-টি মারাত্বকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।এভাবে চলতে থাকলে জাতীয় বিদ্যুৎ লাইনে যে কোনো সময় বিপদ ডেকে আনতে পারে।তার প্রতিবাদে বর্তমানে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।