g ১০ মাসেই ৫০ বার মালয়েশিয়া ভ্রমণ! | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

শনিবার, ২৮শে অক্টোবর, ২০১৭ ইং ১৩ই কার্তিক, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

১০ মাসেই ৫০ বার মালয়েশিয়া ভ্রমণ!

AmaderBrahmanbaria.COM
অক্টোবর ২৬, ২০১৭
news-image

---

নিউজ ডেস্ক : ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক যাত্রীকে আটক করে ৮টি স্বর্ণবার জব্দ করেছে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ। মালয়েশিয়াফেরত ওই যাত্রী পায়ুপথে ওই স্বর্ণবার নিয়ে এসেছিলেন।

মোশারফ হোসেন নামের ওই যাত্রী মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখানের মতিউর রাহমান বেপারীর ছেলে। তার কাছ থেকে জব্দকৃত স্বর্ণবারের প্রতিটির ওজন ১০০ গ্রাম; যার বাজারমূল্য ৪০ লাখ টাকা।

শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, মোশারফের পাসপোর্ট পরীক্ষায় দেখা যায়, চলতি বছরেই তিনি ৫০ বার কুয়ালালামপুর ভ্রমণ করেছেন। তবে প্রতিবারই তিনি স্বর্ণ বহন করেছিলেন কি-না তা জানার চেষ্টা চলছে।

তারা আরও জানান, সকাল সাড়ে ৬টায় মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশ বিমানের ‘বিজি ০৮৭’ ফ্লাইটে বিমানবন্দরে অবতরণ করেন মোশারফ হোসেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিমানবন্দরের গ্রিন চ্যানেল এলাকায় তাকে চ্যালেঞ্জ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বর্ণ থাকার কথা অস্বীকার করেন তিনি। তবে তার চোখে কালো দাগ ও চলাচলে অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করে সন্দেহ আরও বাড়ে। তবে কোনোভাবেই তার কাছে স্বর্ণ থাকার কথা স্বীকার করছিলেন না মোশারফ।

মালয়েশিয়াফেরত মোশারফকে এক্সরে করে তলপেটে স্বর্ণবারের অস্তিত্ব ধরা পড়ে—শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ

এ ব্যপারে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান বলেন, ‘ওই যাত্রীর (মোশারফ) শরীরে স্বর্ণবার থাকার ব্যাপারে গোয়েন্দাদের কাছে নিশ্চিত তথ্য থাকায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকেন কর্মকর্তারা। একপর্যায়ে আর্চওয়ে মেশিনে হাঁটিয়ে তার শরীরে স্বর্ণবার থাকার ব্যাপারটি প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়। তারপর উত্তরার একটি হাসপাতালে নিয়ে ওই যাত্রীকে এক্সরে করানো হয়। এ সময় তার তলপেটে স্বর্ণবার থাকার বিষয়টি ধরা পড়ে।’

শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, এরপর মোশারফকে বিমানবন্দর এনে শরীর থেকে স্বর্ণ বের করার চেষ্টা শুরু হয়। তাকে কলা ও প্যাকেট জুস খেতে দেয়া হয়। আরও দেয়া হয় লুঙ্গি। একপর্যায়ে লুঙ্গি পরে শুল্ক গোয়েন্দাদের উপস্থিতিতে টয়লেটে গিয়ে তিনি বিশেষ কায়দায় পায়ুপথ দিয়ে ৭টি স্বর্ণবার বের করে আনেন। পরে তার মানিব্যাগে আরও একটিসহ ৮টি স্বর্ণবার পাওয়া যায়। এবারে স্বর্ণবারগুলোতে কোন প্যাকেজিং ছিল না।

নজরদারির হাত থেকে বাঁচার জন্য তিনি এই ঝুঁকিপূর্ণ পদ্ধতি গ্রহণ করেন বলে শুল্ক গোয়েন্দাদের জানান। চোরাচালানের দায়ে তার বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মামলা করা হয়েছে।

এ জাতীয় আরও খবর