g বাঞ্ছারামপুরে প্রসাধন প্রতারনা | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

শুক্রবার, ২০শে অক্টোবর, ২০১৭ ইং ৫ই কার্তিক, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

বাঞ্ছারামপুরে প্রসাধন প্রতারনা

AmaderBrahmanbaria.COM
অক্টোবর ১৭, ২০১৭

---

বাঞ্ছারামপুর প্রতিনিধি : আজ সকালে বাঞ্ছারামপুর পৌর এলাকার একটি স্বনামধন্য মার্কেট থেকে পরিবারের জন্য নামী ব্রান্ডের শেম্পু কিনে আনি।৪ শত ৫০ টাকায়।বাসায় মোড়ক খুলে দেখি,কেবল সাবানের পানি। দ্রুত ফের ঐ দোকানে ভেজাল পন্যটি ফিরিয়ে দিতে গেলে,দোকানদার বললেন, ফেরত নেয়া যাবে না।কারন আপনি শেম্পুর মোড়ক/ক্যাপ খুলে ফেলেছেন।প্রশ্ন করি ভেজাল পণ্য রাখেন কেনো ? জবাব দিলো-‘আমরা কি শেম্পুর ভেতর যেয়ে দেখে এসেছি না-কি,সেটি আসল না নকল !’’

প্রসাধনের প্রতি মানুষের আকর্ষণ সেই আদি যুগ থেকেই। আধুনিক যুগে প্রসাধন খাতে ব্যয় হাজার হাজার কোটি টাকার অঙ্ককেও ছাড়াতে বসেছে। কালের বিবর্তনে নাগরিকদের কেনার সামর্থ্য বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের দেশেও বাড়ছে প্রসাধনের ব্যবহার। সেই সঙ্গে বাড়ছে প্রসাধন প্রতারণা!

দেশে নামিদামি ব্র্যান্ডের যেসব প্রসাধন বিক্রি হচ্ছে তার এক বড় অংশই নকল। মানসম্মত প্রসাধন কেনার জন্য যারা কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা ঢালছেন তারাও নিজের অজান্তে কিনে আনছেন ক্ষতিকর প্রসাধন। নিজেকে সুন্দর দেখানোর জন্য কেনা হচ্ছে যে প্রসাধন তা নকল হওয়ায় কুরূপা হওয়ার হুমকি বাড়ছে। এমনকি এর প্রভাবে চর্মরোগ ও ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও দেখা দিচ্ছে। রাজধানীর নামিদামি শপিং মলেও যে সব অভিজাত বিদেশি কোম্পানির প্রসাধন বিক্রি হচ্ছে তার এক বড় অংশই নকল। পাড়া-মহল্লা ও ফুটপাতে যে সব প্রসাধনী পণ্য বিক্রি হচ্ছে সে কমদামি প্রসাধনেও চলছে নকলের কায়কারবার।

নকল প্রসাধনী কখনো কখনো ধরা পড়লেও এর হোতারা আইনের ফাঁক গলিয়ে সহজেই ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে। নকল ভেজাল রোধে বিএসটিআই দৃশ্যত সক্রিয় হলেও লোকবলের স্বল্পতায় তাদের পক্ষে তেমন কোনো প্রতিরোধ গড়ে তোলা সম্ভব হচ্ছে না। স্বল্প সংখ্যক ফিল্ড অফিসার আর ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে নকল প্রসাধন বিক্রেতা ও উৎপাদনকারীদের পাকড়াও করা যাচ্ছে না। নামিদামি বিদেশি কোম্পানির ক্রিম, পাউডার, লোশন, বডি স্প্রে, টুথপেস্ট, শেভিং ফোম, শ্যাম্পু, নেইলপলিশ সব কিছুই নকল হচ্ছে। পুরনো ঢাকায় গড়ে উঠেছে অসংখ্য নকল প্রসাধনীর কারখানা। নকল প্রসাধনী ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কারও কারও অসৎ সম্পর্ক গড়ে ওঠায় তাদের টিকিটিও ছোঁয়া হচ্ছে না। জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে নকল প্রসাধনীর বিরুদ্ধে প্রশাসনকে আরও সক্রিয় হতে হবে।

এ জাতীয় আরও খবর