g নাইকোর আবেদন তিন সপ্তাহ মুলতবি | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

রবিবার, ২২শে অক্টোবর, ২০১৭ ইং ৭ই কার্তিক, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

নাইকোর আবেদন তিন সপ্তাহ মুলতবি

AmaderBrahmanbaria.COM
অক্টোবর ১৯, ২০১৭
news-image

---

নিজস্ব প্রতিবেদক : পেট্রোবাংলা ও বাপেক্সের সঙ্গে কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর মধ্যে হওয়া দুটি চুক্তি অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে হাই কোর্টের দেয়া রায় স্থগিতে নাইকোর করা আবেদন তিন সপ্তাহের জন্য মুলতবি (ষ্ট্যান্ড ওভার) করেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

দায়িত্বরত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

নাইকোর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান খান, পেট্রোবাংলার পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার তানজীব উল আলম। আর রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম শুনানি করেন।

হাইকোর্ট গত ২৪ অগাস্ট এক রায়ে পেট্রোবাংলা ও বাপেক্সের সঙ্গে নাইকোর দুটি চুক্তি বাতিল ঘোষণা করে। পরে হাইকোর্টের সে রায় স্থগিত চেয়ে নাইকো রিসোর্স (বাংলাদেশ) লিমিটেড আবেদন করে। সে আবেদন আজ আদালত তিন সপ্তাহের জন্য মুলতবি করেন।

বাংলাদেশে নাইকো এখন কেবল কুমিল্লার বাঙ্গুরা গ্যাসক্ষেত্রে গ্যাস উত্তোলনের কাজে অংশীদার। এ ছাড়া ছাতক ও ফেনী গ্যাসক্ষেত্রের সঙ্গে তারা যুক্ত। তবে ছাতকে গ্যাস উত্তোলনে কূপ খননের সময় দুর্ঘটনায় এটি পরিত্যক্ত হয়।

কানাডীয় কোম্পানি নাইকো রিসোর্সেস ২০০৩ সালে রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি বাপেক্সকে সঙ্গে নিয়ে ফেনী ও ছাতকে গ্যাসক্ষেত্র উন্নয়নের দায়িত্ব পায়। ওই দুই গ্যাসক্ষেত্রে নাইকোর ৮০ শতাংশ এবং বাপেক্সের ২০ শতাংশ মালিকানা ছিল।

দায়িত্ব পাওয়ার পর ফেনী গ্যাসক্ষেত্র থেকে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ করে আসছিল নাইকো। কিন্তু তাদের অদক্ষতা ও অবহেলার কারণে সুনামগঞ্জের টেংরাটিলা গ্যাসক্ষেত্রে ২০০৫ সালের ৭ জানুয়ারি ও ২৪ জুন দুই দফা বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ড ঘটে। তাতে বিপুল পরিমাণ গ্যাস পুড়ে যায় এবং পরিবেশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হয়।

ওই বিস্ফোরণের জন্য নাইকোকে দায়ী করে আদালতে যায় পেট্রোবাংলা। সেই মামলায় ৭৪৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়। সেইসঙ্গে ফেনী গ্যাসক্ষেত্র থেকে নাইকোর সরবরাহ করা গ্যাসের দাম পরিশোধ করা বন্ধ করে দেয় সরকার।

ওই অর্থ পরিশোধের দাবি নিয়ে নাইকো আন্তর্জাতিক সালিসি আদালতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মামলা করলে ২০১৪ সালে নাইকোর পক্ষে রায় আসে। সেখানে বলা হয়, নাইকোর পাওনা ২১৬ কোটি টাকা সুদসহ পরিশোধ করতে হবে বাংলাদেশকে।