‘মিস বাংলাদেশ’ সাথীর প্রতিবাদ
---
বিনোদন প্রতিবেদক : ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ জান্নাতুল নাঈম আমেনা বিবাহিতা। তাকে নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে চারদিকে। এবার এই আলোচনায় একটু ভিন্ন প্রসঙ্গ নিয়ে মুখ খুলেছেন ১৯৯৫ সালের ‘মিস বাংলাদেশ’ খেতাব জয়ী চিত্রনায়িকা সাথী বিলকিস ইয়াসমিন। মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ প্রতিযোগিতার আয়োজকরা দাবী করেছেন, এবারই প্রথম বাংলাদেশের তরুণীরা মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে। এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন সাথী। তিনি জানান, বাংলাদেশ থেকে ১৯৯৪ সালে ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ প্রতিযোগিতায় প্রথম অংশ নেন এ দেশেরই কন্যা আনিকা তাহের। তবে ল-নে ‘মিস ব্যাঙ্গলী’ হিসেবে জয়লাভ করে তাকে ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে হয়েছিলো। বাংলাদেশ থেকে ‘মিস বাংলাদেশ’ হয়ে সাথীই প্রথম ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন। ১৯৯৫ সালে ‘মিস বাংলাদেশ’ হওয়ার পর তাকে নিয়ে জাতীয় সংসদেও তখন আলোচনা হয়েছিলো।
বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক এবং বিটিভিতে সাথীকে নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন করা হয়। কিন্তু গত ২৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’-এর চ্যাম্পিয়নকে বাংলাদেশের প্রথম ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ ঘোষণা করায় এর প্রতিবাদে সাথী বলেন, ‘বিষয়টি প্রথম যখন আমার কানে আসে, তখন থেকেই এটি নিয়ে আমার মন খারাপ হয়। আর এ কারণেই মন খারাপ হয় যে, আমরা অতীতের অনেক কিছু ভুলে যাই। কিন্তু কেনো? বাংলাদেশে লিংক প্রমোশনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে প্রথম ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ প্রতিযোগিতায় আমাকে পাঠানো হয়। সেই সময় আমার সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন অমিতাভ বচ্চন। আমাকে দেখে ভীষণ প্রশংসা করেছিলেন ঐশ্বরিয়া রাই। আমার সৌভাগ্য হয়েছিলো মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে নেলসন ম্যান্ডেলার সঙ্গে দেখা করার। সেইসব স্মৃতি এখনো ভীষণ ভালোলাগা ছুঁয়ে দেয় আমাকে। এমন মুহুর্ত আমার জীবনে এসেছিলো–ভাবলেই শিহরিত হই।’
মিস বাংলাদেশ হবার পর সাথীর মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্র ছিলো এহতেশাম ও হর পাটনায়েক পরিচালিত ‘পরদেশী বাবু’। এতে তার বিপরীতে ছিলেন সিদ্ধার্থ। এরপর তিনি কাজী হায়াৎ-এর ‘আব্বাজান’, দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর ‘বীর সৈনিক’, হারুনুজ্জামানের ‘অন্যায়ের প্রতিশোধ’, পি এ কাজলের ‘বড় মালিক’ এবং এনামুল করিম নির্ঝরের ‘আহা!’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ‘বীর সৈনিক’ চলচ্চিত্রে কাজের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও অর্জন করেন সাথী। ‘আহা!’ ছবির পর আর কোনো চলচ্চিত্রে দেখা যায়নি সাথীকে। এর বাইরে তিনি চাষী নজরুল ইসলামের নির্দেশনায় ‘ভালোবাসার ছোঁয়া’ শিরোনামের একটি টেলিফিল্মেও অভিনয় করেছিলেন।