বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক অনুসরণযোগ্য মডেল : অরুণ জেটলি
---
নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা সফররত ভারতীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেছেন, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক আজ সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে, যা অন্যান্য দেশের জন্য অনুসরণযোগ্য একটি মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ-ভারতের শিকড় এক, দুই দেশের চ্যালেঞ্জও এক। দুই দেশের সম্পর্ক আজ এমন উচ্চতায় পৌঁছেছে যে, ভারত আজ তৃতীয়বারের মতো ঋণ দিতে যাচ্ছে।
বুধবার হোটেল সোনারগাঁওয়ে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ ও ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন আয়োজিত ‘ভারত সরকারের ম্যাক্রো ইকোনমিক উদ্যোগ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতও উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকালে অর্থ মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক এবং সাড়ে চাড়শ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের পর অরুণ জেটলি সাংবাদিকদের বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক সামাজিক উন্নয়নের সঙ্গে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশের দ্রুত অগ্রগতি দেখে তিনি ‘মুগ্ধ’। বাংলাদেশের এই উন্নয়নের অংশীদার হতে ভারত ‘প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’।
অর্থমন্ত্রী মুহিতের সঙ্গে বৈঠকে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, বিশেষ করে অর্থনৈতিক সহযোগিতার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই সহযোগিতার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) সচিব কাজী শফিকুল আযম এবং ভারতের এক্সিম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিজ নিজ পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। গত সাত বছরের মধ্যে তৃতীয়বারের মতো বড় ধরনের ঋণ দিল ভারত, যা তৃতীয় লাইন অব ক্রেডিট (এলওসি) নামে পরিচিত।
এর আগে ইআরডি সচিব জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ, তথ্য প্রযুক্তি, অবকাঠামোসহ ১৭টি প্রকল্প বাস্তবায়নে এ অর্থ ব্যয় করা হবে। এর মধ্যে পনেরোটি প্রকল্প চূড়ান্ত করা হয়েছে। বাকি দুটির খসড়া তৈরি হচ্ছে।
গত এপ্রিল মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে বাংলাদেশের জন্য সাড়ে চারশ কোটি মার্কিন ডলারের একটি ভারতীয় ক্রেডিট লাইনের ঘোষণা দেয়া হয়। গত ছয় বছরে বাংলাদেশকে ভারতের দেয়া সর্বমোট ক্রেডিট লাইনের পরিমাণ দাঁড়াবে সাড়ে সাতশ কোটি মাকির্ন ডলার। তৃতীয় ডলার ক্রেডিট লাইন চুক্তি স্বাক্ষরে বাংলাদেশ অগ্রাধিকার ভিত্তিক কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো প্রকল্প বাস্তবায়নে সক্ষমতা অর্জন করবে।