g রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আমি ভাষার কারণেও একাত্মতা বোধ করি : ড. ইউনূস | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

সোমবার, ১১ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ইং ২৭শে ভাদ্র, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আমি ভাষার কারণেও একাত্মতা বোধ করি : ড. ইউনূস

AmaderBrahmanbaria.COM
সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৭

---

নিউজ ডেস্ক : মৌখিক ভাষা ও আঞ্চলিকতার কারণে আমি রোহিঙ্গাদের সঙ্গে একাত্মতা বোধ করি। তারা মিয়ানমারের নাগরিক হলেও তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নিয়ে জাতিগত নিধন করা হচ্ছে। তুরস্কের টেলিভিশন টিআরটি ওয়ার্ল্ডকে দেওয়া এক লাইভ সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেছেন শান্তিতে নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এদিকে রোহিঙ্গাদের জাতিগত নিধন ঠেকাতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের হস্তক্ষেপই এখন একমাত্র শান্তিপূর্ণ সমাধান আনতে পারে বলে মত প্রকাশ করেছেন তিনি।

ড. ইউনূস বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি খুবই উদ্বিগ্ন। এটা এমন নয় যে, তারা হেঁটে এমনি এমনি বাংলাদেশে এসেছে। কারণ, এটা আমার এলাকার পাশে। আমরা ও রোহিঙ্গারা একই আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলি। মৌখিক ভাষা ও আঞ্চলিকতার কারণে আমি রোহিঙ্গাদের সঙ্গে একাত্মতা বোধ করি। তারা মিয়ানমারের নাগরিক হলেও নাগরিকত্ব কেড়ে নিয়ে তাদের জাতিগত নিধন করা হচ্ছে।

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে করনীয় কি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের মাধ্যমে মিয়ানমারে শান্তি প্রতিষ্ঠাই এখনকার সবচেয়ে কার্যকর সমাধান। আমি দেখতে চাই এটা খুব দ্রুত সমাধান হোক। দ্রুত সমাধান না হলে এটা এই এলাকায় দুইটি দেশের মধ্যে অস্থিরতা বাড়াতে পারে। তাই এর সমাধানে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদই কার্যকর স্থান হতে পারে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মিয়ানমার সরকারের গঠন করা কমিশনের প্রধান ছিলেন জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান। তার করা প্রতিবেদনে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। মিয়ানমারের মধ্যে তাদের অন্য নাগরিকদের মতোই সুবিধা দেওয়ার সুপারিশও আনান কমিশন করেছেন। ড. ইউনূস বলেন, তাদের নিজেদের গঠন করা কমিশনের সুপারিশই তো তারা মানছে না।

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বন্দুকের মাধ্যমে সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করে কোনো সমাধান আসবে না বলে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষকে মনে রাখতে হবে। তিনি বলেন, এ সমস্যাকে রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে হবে, যা হবে শান্তিপূর্ণভাবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের কিছুদিন আগে বাধা দিলেও এখন সীমান্ত খুলে দিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ হিসেবে আমাদের শরনার্থী হওয়ার অভিজ্ঞতা আছে। একাত্তর সালে এক কোটির বেশি মানুষ ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলাম।

তুরস্কের ফার্স্ট লেডি এমিন এরদোগানের বাংলাদেশ সফর করে রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তুরস্ককে ধন্যবাদ জানান ড. ইউনূস।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার ‘রোহিংগা সংকট দ্রুত ঘনীভূত হচ্ছে’ শিরোনামে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের নিকট খোলা চিঠি পাঠিয়েছেন ড. ইউনূস। সেখানে তিনি বলেছেন, মিয়ানমারের রাখাইন এলাকায় মানবিক ট্রাজেডি ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ ভয়ংকর রূপ নিয়েছে, যে বিষয়ে অবিলম্বে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।

প্রসঙ্গত, এর আগে গত বছরের শেষ দিকেও বেশ কয়েকজন নোবেল লরিয়েট ও বিশ্বের বিশিষ্ট নাগরিকসহ এ বিষয়ে জরুরি হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের কাছে যৌথভাবে অনুরোধ করেছিলেন ড. ইউনূস।

এ জাতীয় আরও খবর