g সংসদে মিয়ানমার সফরের ব্যাখ্যা দিলেন খাদ্যমন্ত্রী | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

বৃহস্পতিবার, ১৪ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ইং ৩০শে ভাদ্র, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

সংসদে মিয়ানমার সফরের ব্যাখ্যা দিলেন খাদ্যমন্ত্রী

AmaderBrahmanbaria.COM
সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৭

---

নিজস্ব প্রতিবেদক : চলমান রোহিঙ্গা সঙ্কটের মধ্যে মিয়ানমারে চাল আমদানি করতে যাওয়ার সমালোচনার জবাবে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়ে, তার অনুমতি নিয়েই আমি মিয়ানমার গিয়েছি। একদিকে বাণিজ্য চলবে। অন্যদিকে কূটনৈতিক প্রক্রিয়ায় রোহিঙ্গা সমস্যারও সমাধান হবে- আমরা এই নীতিতে বিশ্বাসী।’

রোববার জাতীয় সংসদে নাজমুল হক প্রধানের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

এ সময় দাম কম এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে চাল পরিবহন করা সম্ভব হওয়ার কারণে মিয়ানমার থেকে চাল আনা হচ্ছে বলেও দাবি করেন খাদ্যমন্ত্রী।

এ সময় মন্ত্রী দাবি করেন, এই মুহূর্তে চালের দাম স্থিতিশীল আছে। জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যেই আছে। কোনোরকম দাম বাড়তি নাই।

নাজমুল হক প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, দেশে রোহিঙ্গাদের নিয়ে যে চরম অবস্থা চলছে, তার মধ্যে মন্ত্রী আবার মিয়ানমার থেকে চাল আনতে গেলেন। মিয়ানমার থেকে কি বিশেষ ছাড় পাচ্ছেন?

জবাবে তিনি বলেন, ‘একদিকে ট্রেড (বাণিজ্য) চলবে আরেক দিকে ক‚টনৈতিক তৎপরতাও চলবে। চাল কেনার জন্য আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমতি নিয়েই মিয়ানমার গিয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রীই বলেছেন, একদিকে ট্রেড (বাণিজ্য) চলবে আরেকদিকে ক‚টনৈতিক তৎপরতাও চলবে। প্রধানমন্ত্রী এটাই আমাকে বলেছেন।’

মিয়ানমার থেকে চাল আনার সুবিধা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে চাল আনার বড় সুবিধা সেখান থেকে চাল আসতে মাত্র তিন দিন সময় লাগবে। আর বেশি সময় লাগবে না। আর থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের চেয়ে কম দামে মিয়ানমার থেকে চাল কিনতে পারছি। ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড থেকে চাল আসতে প্রায় ১৫-২০ দিন সময় লেগে যায়। মিয়ানমার থেকে দ্রুত চাল আনতে পারবো বলেই সেখান থেকে কিনছি।’

তিনি বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের ৩ লাখ মেট্রিক টন চালের চুক্তি হয়েছে। এবং প্রাথমিক পর্যায়ে ১ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন চাল আমরা পাব। এক লাখ হোয়াইট রাইস (সাদা চাল) ও ২০ হাজার টন সেদ্ধ চাল।

এ জাতীয় আরও খবর