হাবিলের দাম আট লাখ টাকা, কাবিলের দাম সাত!
---
নিউজ ডেস্ক : ওদের নাম হাবিল ও কাবিল। হাবিলের বয়স সাড়ে তিন বছর আর কাবিলের বয়স আড়াই বছর। গায়ের রং কালো। দেখতে একই রকম। হাবিলের দাম আট লাখ আর কাবিলের দাম সাত লাখ টাকা!
গাবতলী পশুর হাটে গিয়ে দেখা মিলল দুটি কালো রঙের গরুর। এদের মালিক সিফাত মোল্লা। হাবিল ও কাবিলের মাকে পালন করতেন তিনি। তাঁর বাড়িতেই জন্ম হয় হাবিল ও কাবিলের।
কোরবানির জন্য বিক্রি করতে এনেছেন ঠিকই। কিন্তু সিফাত মোল্লার চোখেমুখে একটা বিষণ্ণতাও দেখা যায়। তিনি বলেন, ‘ভাই আমার বাড়িতে এদের জন্ম। আমি এদের কখনো আলাদা চোখে দেখিনি। ভেবেছি এরা আমার পরিবারেরই লোক।’
ভাত বাঁচাতে গরু কেনা
সিফাত মোল্লার গ্রামের বাড়ি ঝিনাহদহ জেলার শৈলকুপা থানায়। এলাকায় একটি খাবারের হোটেল আছে তাঁর। দিনশেষে কিছু ভাত থেকে যেত। এগুলো ফেলে দেওয়া ছাড়া উপায় ছিল না। গ্রামে যাদের গরু আছে, তারা এসব ভাত নিয়ে যেত। গরুর খাবার হয়ে যেত। সিফাত চিন্তা করলেন তিনি নিজেই তো একটি গরু রাখতে পারেন। এসব ভাত ওই গরু খেতে পারবে। ভাত নষ্টও হবে না।
যেই ভাবা সেই কাজ। একটি গরু কিনে ফেললেন। ওই গরু এক বছর পর বাচ্চা দেয়। অর্থাৎ হাবিলের জন্ম হয়। পরের বছরই জন্ম হয় কাবিলের।
গরু দুটির নাম হাবিল ও কাবিল কেন রাখা হয়েছে জানতে চাইলে সিফাত জানান, ‘চেহারা দেখে মনে হয় দুজনে যমজ। তাদেরকে মাঠে ছেড়ে দিলে একসঙ্গে ঘোরাঘুরি করে। একসঙ্গে মাঠে ঘাস খায়। তাই গ্রামের লোকজনই এদের নাম দিছে হাবিল কাবিল।’
সিফাত বলেন, ‘হাবিল ও কাবিলরে একসঙ্গে বেচতে পারলেই ভালো হয়। কেউ যদি একসঙ্গে আমার এই গরু জোড়া কিনে নেয়, তাহলে আমার অনেক ভালো লাগবে। কোরবানি দেওয়ার সময় যেন দুটিকে একসঙ্গেই কোরবানি দেওয়া হয়।’
সিফাত জানান, হাবিলের দাম আট লাখ আর কাবিলের দাম সাত লাখ টাকা চাচ্ছেন। তবে এখন পর্যন্ত কোনো ক্রেতাই দাম বলেননি।