g পালিতকন্যার সঙ্গে রাত্রিবাসের আবদার রাম রহিম সিংয়ের! | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

রবিবার, ৩রা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ইং ১৯শে ভাদ্র, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

পালিতকন্যার সঙ্গে রাত্রিবাসের আবদার রাম রহিম সিংয়ের!

AmaderBrahmanbaria.COM
আগস্ট ৩০, ২০১৭

---

বিনোদন ডেস্ক :স্বঘোষিত ধর্মগুরু রাম রহিম সিংয়ের বৈচিত্র্যপূর্ণ নানা কর্মকাণ্ড সামনে আসতে শুরু করে ২৫ আগস্ট শুক্রবার ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে রায় ঘোষণার পর থেকে। তবে এবার গুরুর পক্ষ থেকে করা একটি আবদার বাকি সব ঘটনাকে ছাপিয়ে গেছে । বিচারকের কাছে পালিতকন্যার সঙ্গে জেলে রাত্রিবাসের আবদার জানান তিনি। পালিতকন্যা হানীপ্রীত ইনসানের পক্ষ থেকেও অবশ্য একই দাবি করা হয়।

২৮ আগস্ট সোমবার ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে জেলের মধ্যে বসানো বিশেষ একটি আদালত ধর্ষণ মামলার সাজা হিসেবে ২০ বছরের জেল এবং আর্থিক জরিমানা করে গুরমিত সিংকে। বিচারক জগদীপ সিং সাজা ঘোষণা করেন। ২০০২ সালে তার বিরুদ্ধে দুই নারী ভক্তকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছিল।

সাজা ঘোষণা করার পর নিজেকে নির্দোষ দাবি করে কেঁদে কেঁদে ‘মুঝে মাফ কার দো’ বলে ক্ষমা চাইতে থাকেন তিনি। এসময় শরীরের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাটিতে পড়ে যান তিনি, ছাড়তে চাইলেন না আদালত কক্ষ।
ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত ঘোষণায় গ্রেফতারের পর থেকে রোহতকে নেওয়া পর্যন্ত পালিত কন্যা হানীপ্রীত ইনসান আধ্যাত্মিক এ গুরুর সঙ্গেই ছিলেন। তবে সাজা ঘোষণার পর তিনি যে আবদার করলেন তা কেউই প্রত্যাশা করেনি! পালিতকন্যাও বিচারকের কাছে একই দাবি জানালে আদালত জানায়, ‘ধর্ষণ মামলার আসামির সঙ্গে কেউ থাকতে পারবে কিনা সরকার অথবা জেল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া বিচারকদের কাজ নয়।’
পরে কর্তৃপক্ষ হানীপ্রীতকে একসঙ্গে থাকতে দেওয়া হবে না বলে আবদার প্রত্যাখ্যান করলে জেলের কর্তব্যরতদের বহিষ্কারের হুমকি দেন স্বঘোষিত অাধ্যাত্মিক এ গুরু।
উল্লেখ্য, ২৫ আগস্ট দোষী সাব্যস্ত করে ঘোষণার পর থেকে হানীপ্রীত ইনসানকে আশ্রমের দাবিদার হিসেবে ভাবা হচ্ছিল। এরপর সম্মুখে আসা শুরু হয়েছে তার বৈচিত্র্যময় জীবনযাপনের খবরাখবর। হানিপ্রীতের আসল নাম হচ্ছে প্রিয়াঙ্কা তানেজা। সে গুরমিতের তিন মেয়ের মধ্যে অন্যতম।

১৯৯৯ আশ্রমের এক ভক্তের সঙ্গে বিয়ে হয় প্রিয়াঙ্কার। তখন থেকে রাম রহিম সিং এর সঙ্গে সখ্যতা তৈরি হয় তার। এরপর তার নাম বদলে হয় হানীপ্রীত ইনসান। নামটি পছন্দ করে দিয়েছিলেন গুরমিতই।
তবে আশ্রমের অনুগামীদের দাবি ভিন্ন। তার বলছেন, ‘বাবা’র কাছে শ্বশুরবাড়ির বিষয়ে অভিযোগ জানাতে এসেছিলেন প্রিয়াঙ্কা। তখনই নাকি তাকে দত্তক নেওয়া হয়। এরপর থেকেই বাবার ছায়াসঙ্গী হানিপ্রীত।