g বাড়িতেই ঈদের সাজ | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

সোমবার, ২১শে আগস্ট, ২০১৭ ইং ৬ই ভাদ্র, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

বাড়িতেই ঈদের সাজ

AmaderBrahmanbaria.COM
আগস্ট ১৯, ২০১৭

---

তালিকার শুরু আছে, শেষ নেই। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো, বাইরে ঘুরতে যাওয়া, রান্নাঘরের কাজ গোছানো, মেহমান সামলানো প্রভৃতি। ঈদের দিন বলে যে আরাম করে ছুটির দিন হিসেবে পার করে দেব, সেই সুযোগ নেই। এসবের মাঝে আবার সাজপোশাক থাকা চাই ফিটফাট। যাঁরা সাজতে ভালোবাসেন, বিশেষ দিনটি তাঁদের জন্য আরও বিশেষ। তবে সমস্যা একটাই, সৌন্দর্যসেবা কেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকে ঈদের দিন। ভরসা তখন নিজের হাত দুটোই। যাঁরা নিয়মিত সাজেন, তাঁদের জন্য ঈদের দিনের সাজা খুব একটা ঝামেলার বিষয় নয়। তবে যাঁদের সাজার অভ্যাস নেই, একটু চিন্তায় পড়ে যান বৈকি। চাইলে বাড়িতেই চটজলদি সেজে নিতে পারবেন সহজেই। এবারের ঈদের সাজের চলতি ধারা ও সাজটা কেমন হতে পারে, জানালেন রূপবিশেষজ্ঞ ফারজানা মুন্নী।

গরম। ঈদের দিনেও এই কথাই শুনবেন। সাজপোশাকটা সে কারণেই হতে হবে আরামদায়ক। নিজের স্বস্তি তো আছে, আপনাকে যিনি দেখছেন, তিনিও দেখে প্রশংসা করবেন। সাধারণ সময়ে সাজে চাকচিক্য রাখতে খুব একটা উৎসাহ দিচ্ছেন না রূপবিশেষজ্ঞরা। তবে ঈদের দিন বলে কথা, সাজটা একটু ভারী হতেই পারে। একঝলকে জেনে নেওয়া যাক এবার ঈদের সময় মেকআপে চলতি ধারায় কী কী থাকছে—
*সাজে গ্লিটারের ব্যবহার চলছে বেশ।
*লিকুইড ফাউন্ডেশন এখন জনপ্রিয়।
*চোখে লাইনার বা কাজলটা ইচ্ছে করলে একটু টেনে লাগাতে পারেন।
*লিপস্টিকের ওপর নজর যাচ্ছে বেশ। গাঢ় রংগুলোকেই বেছে নেওয়া হচ্ছে।
ফাউন্ডেশন
যেকোনো সাজের ক্ষেত্রেই ফাউন্ডেশনটা খুব জরুরি। ফারজানা মুন্নী সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় তেমনটাই জানালেন। তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকেই আমরা এখন ব্যস্ত। আমাদের জীবনযাপন বদলে গেছে। বিশেষ দিনগুলোতে সাজের জন্য খুব বেশি সময় দেওয়া যায় না। তবে বর্তমানে সাজের পণ্যগুলো এমনভাবে বানানো হচ্ছে যে একটির মাধ্যমেই দু-তিনটি কাজ হয়তো হয়ে যাচ্ছে।’
হালকা ফাউন্ডেশনের দিকেই সবাই এখন ঝুঁকছে। তবে মজাটা এখানেই, লিকুইড ফাউন্ডেশনগুলো ব্যবহার করার পর দেখতে অনেক ভারী ও ম্যাট লাগে। কিন্তু আপনি হয়তো অনুভবই করবেন না ত্বকে কিছু দিয়েছেন। মুখ ধুয়ে লিকুইড ফাউন্ডেশন লাগানোর মধ্য দিয়েই আপনার সাজ শুরু হয়ে গেল। ফাউন্ডেশনটি অবশ্যই পানিনিরোধক ও ভালো ব্র্যান্ডের হতে হবে। এই ফাউন্ডেশনগুলো ব্যবহারে খুব একটা ঘামও হয় না। তবে আপনি চাইলে কনসিলার ব্যবহার করে ফাউন্ডেশন লাগাতে পারেন। এতে দেখতে ন্যাচারাল লাগবে। এখানেও কিছু কথা আছে। অনেক ফাউন্ডেশনের সঙ্গে লিমুনাইজার যোগ করা থাকে। ফাউন্ডেশন এখন এমনভাবে তৈরি করা হচ্ছে যে এতে কনসিলার, পাউডার কোনোটাই ব্যবহার করতে হচ্ছে না। কেনার সময় দেখে কিনলে আপনার সাজের অনেকখানি সময় বেঁচে যাবে। ফাউন্ডেশন দেওয়া শেষ হলে এরপর স্যাটিন পাউডার দিন। এতে চেহারায় নরম একটা আভা ফুটে উঠবে।
বেস হয়ে যাওয়ার পর কনট্যুরিং করে নিতে পারেন। তবে এই বিষয়ে অভিজ্ঞ হতে হবে। গাঢ় করে কাটতে না চাইলে হালকা রং ব্যবহার করে গাল কেটে নিতে পারেন। এরপর ব্লাশঅন লাগানোর পালা। ব্লাশঅনের ওপর শিমার লাগানো যায়। তবে দিনের বেলা হলে খুব বেশি ব্যবহার করবেন না।
চোখের সাজে গ্লিটার
চোখে গ্লিটারের জনপ্রিয়তা এখন তুঙ্গে। রুপালি, সোনালি ছাড়াও বিভিন্ন রঙের গ্লিটার বেশ চোখের সাজে দেখা যাচ্ছে। অনেকে দুটি রঙের গ্লিটারকেও ব্যবহার করছেন একসঙ্গে। অনেক আইশ্যাডোতে এখন গ্লিটার দেওয়াই থাকে। যদি হালকা গ্লিটারি ভাব চান, তাহলে ব্রাশ দিয়ে লাগিয়ে নিলেন। তবে একটু জমকালো ভাব আনতে চাইলে ব্রাশটাকে একটু ভিজিয়ে নিয়ে গ্লিটার দিন। তবে চোখ সাজানোয় গ্লিটার অনেক সহজ উপায়ে ব্যবহার করা যায়। গ্লিটার জেল কিনতে পাওয়া যায় বাজারে। আঙুলের মাথায় লাগিয়ে চোখের ওপর লাগিয়ে দিন। পাশ দিয়ে কালো, বাদামি, গাঢ় নীল রঙের আইশ্যাডো দিয়ে দিন। চোখের নিচে পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে কাজল দিতে পারেন। না হলে কালো রঙের কাজল তো আছেই। ওপর দিয়ে টেনে আইলাইনার লাগিয়ে দিন। মাশকারা দিন। ব্যস, হয়ে গেল। রাতের চোখের সাজ সম্পূর্ণ। দিনের বেলায় হালকা রঙের গ্লিটার দেওয়া হালকা রঙের আইশ্যাডো ব্যবহার করুন।

গাঢ় ঠোঁটপলিশ
গাঢ় রঙের লিপস্টিক এখন বেশ জনপ্রিয়। তবে ফারজানা মুন্নী লিপসেলার ব্যবহার করার ওপর জোর দিলেন বেশি। লিপসেলারগুলো মেকআপ রিমুভার ছাড়া ওঠে না। খাবার সময়ও ঠোঁটের ওপরই থাকবে। দিন-রাত সব সময়ই লিপসেলার ব্যবহার করতে পারেন। লরিয়েল, রেভলন, ম্যাক, ল্যাকমে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের লিপসেলার এখন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। লিপসেলার ওঠানোর সময় মেকআপ রিমুভার বা মেকআপ ওয়াইপস দিয়ে উঠিয়ে নিতে পারবেন। লিপস্টিক দেওয়ার সময় ঠোঁট এঁকে নিতে পারেন। মেরুন, লাল, বেগুনি, গোলাপি, বারগেন্ডি, বাদামি বিভিন্ন শেডের গাঢ় রংগুলোই চলছে এখন। চাইলে ঠোঁটের ওপরও গ্লিটার ব্যবহার করতে পারেন।
ভুরু আঁকা এখন খুব প্রয়োজনীয়। বাড়িতে একটু অভ্যাস করে নিন। পারলে আইল্যাশ লাগাতে পারেন। একটু মোটা ভুরুর ট্রেন্ডটাই এখন চলছে। ভুরুর শেষের অংশটাকে আগে এঁকে নিন। ব্লেন্ড করতে করতে সামনের দিকে আসতে হবে। এতে ভুরু আঁকায় ভুল হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে।

এ জাতীয় আরও খবর