g বাঞ্ছারামপুরে এশিয়ার বৃহত্তম ওয়াইসেতুকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে মহাযজ্ঞ ! | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

শনিবার, ৩০শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ইং ১৫ই আশ্বিন, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

বাঞ্ছারামপুরে এশিয়ার বৃহত্তম ওয়াইসেতুকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে মহাযজ্ঞ !

AmaderBrahmanbaria.COM
জুলাই ২২, ২০১৭
news-image

---

সালমা আহমেদ,বাঞ্ছারামপুর : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় গড়ে উঠা এশিয়ার বৃহত্তম ওয়াইব্রীজটি এখন উদ্ধোধনের অপেক্ষায়।যে কোন দিন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ১শত ২৬ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত ইংরেজী অক্ষর ওয়াই আকৃতির ব্রীজটি উদ্ধোধন করবেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশল শ্যামা প্রসাদ জানান,-আমরা তৈরী।এলজিইডি’র অধীন এতোবড় বৃহত প্রকল্প বাংলাদেশে আর দ্বিতীয়টি হয়নি।

এদিকে, ঢাকা-চট্রগ্রাম-কুমিল্লা-বাঞ্ছারামপুর সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হওয়ার প্রেক্ষিতে ও সম্ভাববনাময় পর্যটন শিল্প গড়ে উঠতে যাওয়ায়,সে সাথে ওয়াইব্রীজের সুবিধা কাজে লাগাতে বাঞ্ছারামপুর-হোমনা-মুরাদনগর এই ৩ উপজেলায় চলছে শিল্পকারখানা,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,ব্যবসায়িক কেন্দ্র,বাস-ট্রাক-সিএনজি সহ নানাধরনের প্রতিষ্ঠান তৈরীর প্রতিযোগিতা।
ফলে,যে উদ্দেশ্য নিয়ে ওয়াইব্রীজটি ৫ বছর ধরে নাভানা কনষ্ট্রাকশান তৈরী করেছে তার বহুলাংশে স্বার্থক।

ওয়াইব্রীজের নীচে ও ধারে কাছে বসবাসকারী ব্যবসায়ী,স্থানীয় জনগন দাবী জানিয়েছেন ব্রীজটিতে উঠতে নামতে হলে এপ্রোচ-সড়ক ঘুরে মূলব্রীজটিতে উঠতে তাদের ৩০/৪০ মি:সময় বেশী লাগছে।পরিবহন চালকদেরও একই অবস্থা।সেই জন্য বাঞ্ছারামপুর-হোমনা-মুরাদনগরের ৩ প্রান্তে ৩ টি সিড়ি তৈরীর দাবী জানিয়েছেন।ব্রীজটি যে ইউপিতে তৈরী হয়েছে সে এলাকার চেয়ারম্যান এম.এ সেলিম বলেন,-‘রমজানের পর হতে – শত-শত মানুষ ব্রীজটি দেখতে আসছে।ব্রীজটি।কিন্তু নিরাপত্তার কোন ব্যবস্থা এখনো হয়নি ।ইতোমধ্যে ৩/৪টি অনাকাংথীত ঘটনা ঘটে ঘেছে।অবিলম্বে তিনি নিরাপত্তাবাহিনী নিয়োগের আহবান জানান।

আগামী মাসে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর-নবীনগর,কুমিল্লার মুরাদনগর,তিতাস,হোমনা-চান্দিনা উপজেলার বিশাল জনগোষ্ঠেী এই ব্রীজটি চালু হলে । এ সেতুটি চালু হবার পরই যান চলাচলে আরও দেড় ঘন্টা থেকে ২ ঘন্টা সময় কমে আসবে উল্লেখিত উপজেলাগুলোর অভ্যন্তরীন ও জাতীয় সড়কে সংযোগ যোগাযোগে- বলে জানান স্থানীয় সংশ্লিষ্টরা। একইভাবে ভবিষ্যতে যদি কখনো চারলেনের যান চলাচল করতে চায় সে ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে সেতুটিতে।খোজ নিয়ে জানা গেছে,সেতুর উপর দিয়ে কোন প্রকার যানজট সৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।ফলে অনায়াসে ব্যবসায়ীরা যে কোনো সময় বাস-ট্রাক-বিভিন্ন হেভিলোডেড পরিবহন চলাচলের পাশাপাশি পণ্য পরিবহনের সময় এবং যাত্রী হয়রানিও কমবে ওয়াইসেতুর কারনে। এ সেতু পুরোপুরি চালু হলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিরাট ভূমিকা রাখবে।

ব্রীজটির স্বপ্নদ্রষ্টা বাঞ্ছারামপুর আসনের সংসদ সদস্য ক্যা.এবি তাজুল ইসলাম বলেন,মাননীয়া প্রধান মন্ত্রীর গ্রীন সিগনালের অপেক্ষায় আছি।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা প্রকৌশলী মো.খোরশেদ আলম বলেন,৯৯%কাজ শেষ।ইতোমধ্যে বৃহত্তর কুমিল্লার মানুষজন দৃষ্টিনন্দন ওয়াই ব্রীজটি দেখতে ছুটে আসছেন।

এ জাতীয় আরও খবর